ফিলিস্তিনে জাতিসঙ্ঘের ত্রাণ ও শরণার্থী সংস্থায় (ইউএনআরডব্লিউএ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অনুদান স্থগিত করছে আরো ৮টি দেশ। এ ঘটনাকে অবৈধ বসতি উচ্ছেদের পরিবর্তে ফিলিস্তিনিদের শাস্তি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র বলে মন্তব্য করেছেন প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি মোস্তফা বারঘৌতির।
সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বারঘৌতি আল জাজিরাকে বলেছেন যে- আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) দ্বারা আদেশ দেয়া সাম্প্রতিক অন্তর্বর্তী পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে ‘গাজা কনফারেন্সে প্রত্যাবর্তন’ সম্মেলনে উপস্থিত ইসরাইলি রাজনীতিবিদরা ‘আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি কোনো সম্মান প্রদর্শন করেননি’।
মোস্তফা বারঘৌতি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নীরব থাকায় তারা এসব করছে।’
তিনি আরো বলেন, তারা ফিলিস্তিনিদের মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছে। তারা ফিলিস্তিনি জনগণের সম্মিলিত শাস্তি দিচ্ছে’।
এর আগে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসঙ্ঘের বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেসকা আলবানিজ বেশ কয়েকটি ইউএনডব্লিউআরএ দাতাদের দ্বারা নেয়া সিদ্ধান্তকে ‘সবচেয়ে সঙ্কটময় সময়ে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে সম্মিলিতভাবে শাস্তি’ হিসাবে বর্ণনা করেন।
আলবেনিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক পোস্টে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) যেদিন উপসংহারে পৌঁছেছে যে- ইসরাইল সম্ভবত গাজায় গণহত্যা করছে এর পরেই কিছু দেশ ইউএনআরডব্লিউএকে অর্থ ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এর আগে আটটি দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মিলে জাতিসঙ্ঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএতে তাদের অনুদান স্থগিত করেছে।
এই দেশগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য।
এদিকে আরো দুটি দেশ বলেছে যে তারা ইউএনআরডব্লিউএকে পর্যালোচনা করছে। তারা হলো- আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে।
১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতিসঙ্ঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ গাজায় কাজ পরিচালনা করা জাতিসঙ্ঘের বৃহত্তম সংস্থা। সংস্থাটি গাজা, পশ্চিম তীর, জর্ডান, লেবানন ও সিরিয়ার ফিলিস্তিনিদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং অন্যান্য মানবিক সহায়তা প্রদান করে। গাজার অভ্যন্তরে সংস্থাটির প্রায় ১৩ হাজার কর্মী রয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ একটি সামাজিক মাধ্যম পোস্টে বলেছে, ‘২০ লাখ মানুষ তাদের সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল।’
সূত্র : আল-জাজিরা
Leave a Reply