1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১১ পূর্বাহ্ন

শ্রমিকরা এ মামলা করে নাই : ড. ইউনূস

ইউএস বাংলাদেশ ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৪

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শ্রমিকরা নয়, সরকার মামলা করেছে বলে দাবি করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কলকারখানা অধিদফতর কাদের প্রতিষ্ঠান?

রোববার কাকরাইলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ছয় মাসের সাজার বিরুদ্ধে ২৫টি যুক্তি দেখিয়ে খালাস চেয়ে আপিলও করেন তিনি।

এ মামলার শিকার কিভাবে হলেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. ইউনূস বলেন, আমরা একটা স্বপ্নের পেছনে ছুটেছি। এই স্বপ্ন বুনতে গিয়ে কারো বিরাগভাজন হয়েছি। কিন্তু কেন এই মামলা করল সেটা বলতে পারব না। আমার প্রত্যাশা হচ্ছে আমরা নতুন পৃথিবী গড়ব। তিন শূন্যের পৃথিবী গড়ব। এ মামলার সাজা একটি ছোটখাটো জিনিস। এ নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই৷

তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে পাল্টে ফেলতে হবে। শিক্ষার্থীরা চাকরির জন্য লেখাপড়া করছে কিন্তু উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য লেখাপড়া করছে না। তরুণরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তারাই আগামীর পৃথিবী গড়বে। তাদের নিয়েই আমরা থ্রি জিরো ক্লাব করেছি। দেড় বছর আগে শুরু করা থ্রি জিরো ক্লাব আজ ৩৫টি দেশে শুরু হয়েছে।

এদিকে ড. ইউনূসের আইনজীবী আইনজীবী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আজকের আদালত আমাদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে এবং নিম্ন আদালতের সম্পূর্ণ রায়কে সাসপেন্ড করেছে। একইসাথে আগামী ৩ মার্চ নিম্ন আদালতের সেসব নথি আনার জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছে। আর আপিল শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে স্থায়ী জামিন দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আজকে আমরা আদালতে জামিন প্রার্থনা করেছি এবং আপিল করেছি। রাষ্ট্রীয় সর্বমহলে এমনকি বিদেশীদের কাছেও বলা হচ্ছে, এ মামলা সরকার করে নাই। এ মামলা শ্রমিক করেছে। কিন্তু ঘটনাটা সঠিক নয়। সরকার তার প্রতিষ্ঠান কলকারখানা অধিদফতরের মাধ্যমে এ মামলা করেছে। শ্রমিলদের চাকরি স্থায়ী করা হয় নাই, বর্ধিত ছুটি দেয়া হয় নাই এবং লাভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ দেয়া হয়নি- এমন তথ্য দিয়ে এ মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠান এ মামলা করেছে।

এ মামলায় যে রায় হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ অবৈধ। ৩০৭ ধারা অনুযায়ী এ মামলায় শাস্তি দেয়ার বিধান নেই। কারণ লেবার আইনের ২৩৬ ধারা অনুযায়ীই এ মামলার শাস্তির বিধান আছে। এ ধারাতেই বলা আছে, যদি বকেয়া থাকে তাহলে সেটা পরিশোধের জন্য নির্দিষ্ট সময় দেয়া হবে। এটা না করলে এক লাখ টাকা জরিমানা। প্রতিদিন পাঁচ হাজার টাকা করে। পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি আইন অনুযায়ী এটা আদায় করা হবে। কিন্তু সেসব ভায়োলেট করে বিশ্বের কাছে নন্দিত নোবেলজয়ী ড. ইউনুস ও তার বন্ধুদের সামাজিক ব্যবসা ধ্বংস করার জন্য এ সাজা দেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com