এলাচি সুগন্ধিযুক্ত একটি মসলা। সাধারণত মসলাটি রান্নায় ব্যবহৃত হয়। তবে এটি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এলাচ গ্যাস্ট্রিক সমস্যা প্রতিরোধের পাশাপাশি অ্যাসিডিটি দূর করে, ডাইজেস্টিভ সিস্টেম সক্রিয় রাখে এবং হজমশক্তি বাড়ায়। পেটের যে কোনো সমস্যা, যেমনÑ বদহজম নিরাময়ে সহায়তা করে। এক কাপ গরম পানিতে একটি এলাচ পিষে নিয়ে খেয়ে ফেললে দেখবেন হজমের সমস্যা দূর হয়েছে। মধু, লেবুর রস, গরম পানির সঙ্গে একটা এলাচ পিষে মিশিয়ে পানিটুকু পান করলে তাতে শ্বাসকষ্ট দূর হয়। যারা হুপিংকাশি ও ফুসফুস সংক্রমণের মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাদের জন্য এলাচ খুব উপকারী। এলাচ হাঁপানি ও হৃদরোগ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হৃদরোগ প্রতিরোধ করে, হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া এলাচ রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। এলাচের গুঁড়ার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে হৃদরোগে উপকার পাওয়া যায়। ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করার পরও যদি মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয় তা হলে এলাচ নিয়ে চিবোতে থাকুন। দূর হয়ে যাবে দুর্গন্ধ। গরম পানিতে এলাচ গুঁড়ো ও মধু দিয়ে ফুটিয়ে বানিয়ে নিন এলাচের চা। মাথাব্যথায় ভুগে থাকলে এক কাপ গরম এলাচ চা পান করে দেখতে পারেন। মাথাব্যথা নিমেষেই দূর হয়ে যাবে। এ ছাড়াও এলাচ চা মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।
এলাচে আছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। তাই ত্বকের সমস্যা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। কারণ ভিটামিন ‘সি’ রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া উন্নত করে। কারো ত্বকে কালো ছোপ দাগ থাকলে তা দূর করতে এলাচ বেটে দাগে নিয়মিত লাগালে দাগ চলে যাবে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও জ্বরে এলাচ উপকারী। এলাচ, বেল ও দুধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে গরম করুন। দুধ যখন ঘন হয়ে আসবে তখন তা একটু ঠান্ডা করে খেলে নিন। কোষ্ঠকাঠিন্য ও জ্বর কমে যাবে।
Leave a Reply