ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান কার্যক্রম বন্ধে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষ করা হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করবেন।
রিটকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, অপ্রয়োজনীয় সিজার কার্যক্রম বন্ধে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার (সিজারিয়ান) রোধে একটি নীতিমালা তৈরিতে বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মোহাম্মদ আশরাফুল কামলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এক মাসের মধ্যে ওই কমিটি গঠন করে কমিটিকে ছয় মাসের মধ্যে নীতিমালা তৈরি করে আদালতে দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। পরবর্তীতে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর এ বিষয়ে শুনানির জন্যে রাখেন।
সেইসাথে রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে সরকারি-বেসরকারি ক্লিনিকে মেডিক্যালি অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন প্রতিরোধে কার্যকর তদারকি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতিকে রুলের জবাব দিতে হবে।
হাইকোর্ট আদেশে বলেন, অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান রোধে আগামী ছয় মাসের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরকে একটি কমিটি করে ওই কমিটির মাধ্যমে একটি নীতিমালা তৈরি করতে হবে।
Leave a Reply