সিজিপিএর শর্ত শিথিল করে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের এক দফা দাবি নিয়ে আবারও রাস্তায় নেমেছেন ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে মিরপুর রোডের রাফিন প্লাজার সামনের ফুটওভার ব্রিজের ওপর জড়ো হতে থাকেন তারা। পরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
দুপুর ১২টায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে তাদের এক দফা দাবি তুলে ধরেন। এ সময় পুলিশ তাদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানালে তারা স্লোগান দিতে থাকেন, ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’।
শিক্ষার্থীদের দাবিটি হলো- সিজিপিএ সিস্টেম শিথিল করে, অকৃতকার্য বিষয়ে মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দিতে হবে।
তাদের অভিযোগ, সাত কলেজ ঢাবি অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকে তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তাছাড়া ঢাবি রেজিস্ট্রার ভবনের সেবা দেওয়া হচ্ছে সনাতনী পদ্ধতিতে। সাত কলেজ হওয়ায় এখনও তাদের বাঁকা চোখে দেখা হয়।
আজকের আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য আমরা পরবর্তী বর্ষের ইনকোর্স, টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি এবং চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। তাই নির্ধারিত সিজিপিএ, জিপিএ সিস্টেম শিথিল করে, ফেলকৃত বিষয়ে মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন চাই।’
যদিও আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধিরা। এসময় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের সিদ্ধান্তে অনড় থাকার কথা জানালে এক পর্যায়ে শিক্ষকরা ফিরে যান।
এ নিয়ে অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় হবে না, আমরা লাগাতার কর্মসূচি দিয়ে যাব। আমরা নীলক্ষেত অবরোধ করে আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় করব। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে আমরা কেউ রাজপথ ছেড়ে যাব না।’
অপরদিকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে নীলক্ষেতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত আছেন ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার, নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য সদস্যরা।
এর আগে শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত কলেজের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের এসব দাবি নিয়ে কোনো প্রকার মূল্যায়ন করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈঠকে তাদের উত্থাপিত দাবিগুলোকে আমলে নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তাদের। ওই সময় শিক্ষার্থীদের দাবির সঠিক মূল্যায়ন না করা হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
Leave a Reply