বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তন করে নাম রাখা হচ্ছে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’। এ আইনে মানহানির মামলায় সাংবাদিকদের কারাদণ্ডের বিধান থাকবে না বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন এই সিদ্ধান্তের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
পরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে মানহানির অভিযোগে কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান ছিল। নতুন আইনে পরিবর্তন এনে কারাদণ্ডের পরিবর্তে জরিমানার বিধান করা হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। এ আইনের বহু ধারা নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে যুক্ত করা হবে। কিছু ধারায় বড় সংশোধনী আনা হবে।’
এ ছাড়া তিনি বলেন, ‘এটাকে ভেটিংয়ের জন্য লেজিসলেটিভ ডিভিশনের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আধুনিকীকরনের পাশাপাশি এর অপব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একইসঙ্গে আমরা এই আইনের সংস্কার করে এর নাম বদলে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করতে যাচ্ছি। আমরা একইসঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন অনুচ্ছেদের সংস্কার করছি। মূলত আমরা শাস্তির পরিমাণ কমিয়েছি, অর্থাৎ আমরা মানহানির ক্ষেত্রে ফৌজদারি শাস্তির বিধান রদ করেছি। এটাই মূল বিষয়।’
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে প্রণীত বিতর্কিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ বাতিলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ওঠে। বিশেষ করে এর ৫৭ ধারা দেশে-বিদেশে সমালোচিত হয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের অধিকার সমুন্নত রাখা, সর্বোপরি মানুষের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিতে আইনটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
Leave a Reply