কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে একটি অনুষ্ঠানে সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল মঞ্চে উঠে একটি গানের পর মাইক্রোফোনের স্ট্যান্ড ভেঙে ‘অসংলগ্ন’ আচরণ শুরু করেন। এ সময় তাকে উদ্দেশ্য করে জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারেন দর্শকরা। এ ঘটনার পর ওই অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি ও সূর্বণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ঘটেছে এই ঘটনা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করতে সংগীতশিল্পী নোবেলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ওইদিন রাত ৯টার দিকে মঞ্চে গান পরিবেশনের কথা ছিল নোবেলের। কিন্তু তিনি মঞ্চে ওঠেন রাত ১১টা ২০ মিনিটে। মঞ্চে গান গাওয়ার একপর্যায়ে ‘অসংলগ্ন’ আচরণ করতে করতে বসে পড়েন।
মঞ্চে এমন ‘অসংলগ্ন’ আচরণ দেখে ক্ষুব্ধ হন উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা। একপর্যায়ে তারা জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারতে থাকেন নোবেলকে। পরে আয়োজক কর্তৃপক্ষ মঞ্চ থেকে সরিয়ে নেয় তাকে।
এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে নোবেলকে অসংলগ্ন আচরণ করা ছাড়াও মাইক্রোফোনের স্ট্যান্ড ভাঙচুর করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত নোবেলের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম জানান, রাত ৯টায় নোবেলের মঞ্চে ওঠার কথা থাকলেও নেশাগ্রস্ত থাকায় ১১টা ২০ মিনিটে গান গাইতে ওঠেন তিনি। একপর্যায়ে তিনি দর্শকদের সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন। এতে দর্শকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে পানির বোতল ও জুতা দিয়ে ঢিল ছোড়েন। পরে আয়োজকদের পক্ষ থেকে তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে আনা হয় এবং তাকে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
তিনি বলেন, ‘এত বড় মাপের একজন শিল্পী এভাবে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মঞ্চে উঠবেন আমরা আয়োজকেরা ভাবতে পারিনি। আয়োজকদের পক্ষ থেকে আমরা অনুষ্ঠানে আগত দর্শক ও সুধীজনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের ২৭ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি ও সূর্বণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. মশিউর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
Leave a Reply