পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম নয়ন মিয়ার ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চরশিবচর গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ঢাকা থেকে রওনা হয়েছেন। তার সঙ্গে আছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, ছাত্রদলের সভাপতি রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
গত সোমবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় পুলিশের গুলিতে নিহত রফিকুল ইসলাম নয়ন মিয়ার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ব্রাক্ষ্মবাড়িয়া-৬ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ। তিনি বলেন, ‘পুলিশের গুলিতে নিহত নয়ন মিয়ার পরিবার আর্থিকভাবে স্বচ্ছল নয়। এই পরিবারে নয়ন মিয়ার দুই বছরের সন্তান, স্ত্রী, মা-বাবা রয়েছে। নয়ন মিয়ার মৃত্যুর আগের দিন একটি বোনের বিয়ে হয়েছে। তাদের থাকার ভালো ঘরও নেই। এই অবস্থায় আমি নয়ন মিয়ার পরিবারের জন্য একটি ঘর তৈরি করে দেব। এছাড়াওচলার মতো একটা ফান্ডও দিব। আরও কিছু যদি করতে হয় সবার সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সব কিছু করা হবে।’
নয়ন মিয়া বাঞ্ছারামপুরের সোনারামপুর ইউনিয়নের চরশিবচর গ্রামের রহমত উল্লাহর বড় ছেলে। তিনি সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি ও চরশিবপুর ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।
আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে গত শনিবার উপজেলা সদরের মোল্লাবাড়ির সামনে লিফলেট বিতরণকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন নয়ন মিয়া। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান নয়ন মিয়া।
Leave a Reply