শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবারের কোনও বিকল্প নেই। ভালো থাকতে আলাদা করে যত্ন নেয়ার খুব প্রয়োজন পড়ে না। অতি সাধারণ এবং পরিচিত খাবারদাবারেই লুকিয়ে থাকে অজানা কত স্বাস্থ্যগুণ। অজান্তেই নেয়া হয়ে যায় শরীরের যত্ন। কিন্তু অনেক সময়ে সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে ভূত। প্রতিদিন পাতে থাকা অতি পরিচিত খাবার খেলেও হতে পারে সমস্যা। এই তালিকা খুব বেশি দীর্ঘ নয়। তবে জেনে রাখা প্রয়োজন। তা হলে খাওয়ার আগে সতর্ক থাকা সম্ভব হবে।
স্বাস্থ্যকর মনে হলেও এমন কিছু পরিচিত খাবার রয়েছে, যেগুলো বেশি খেলে স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে। দেখে নিন এমন কয়েকটি খাবারের তালিকা।
মাশরুম: ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ উৎস হলো মাশরুম। অনেকেই এই খাবারটি খেতে ভালোবাসেন। মাশরুম দিয়ে বাড়িতেই অনেকে বানিয়ে নেন দেশি-বিদেশি নানা সুস্বাদু খাবার। তবে মাশরুম মানেই স্বাস্থ্যকর, এমন কিন্তু নয়। বেশ কিছু প্রজাতির মাশরুম রয়েছে, যেগুলো আসলে বিষাক্ত। শরীরে প্রবেশ করলে মারাত্মক কোনও সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত দোকানে বা খোলা বাজারে সেগুলো পাওয়া যায় না। তবে মাশরুম রান্নার আগে গরম পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিন। না ধুয়ে কখনও মাশরুম রাঁধবেন না।
টমেটো: অতি পরিচিত একটি সবজি। পাতলা মাছের ঝোল কিংবা মাংসে টমেটো না দিলে যেন রান্নার স্বাদই ফেরে না। টমেটোর স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। কিন্তু টমেটোতে রয়েছে গ্লাইকোলয়েড নামক রাসায়নিক উপাদান। এই উপাদান মানসিক উদ্বেগের কারণ হতে পারে। তাই সব রান্নায় টমেটো না দেয়াই ভালো। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কাঠবাদাম: সকালে উঠে অনেকেই ভেজানো কাঠবাদাম খান। ভিটামিন ‘ই’ সমৃদ্ধ এই বাদামের উপকারিতা নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। তবে কোনও কিছুই বেশি করে খাওয়া ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কাঠবাদামে রয়েছে সায়ানাইডের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান। বেশি কাঠবাদাম খেলে শরীরের অন্দরে মারাত্মক কোনও রোগের জন্ম নিতে পারে।
আলু: প্রতিদিনের রান্নায় আলু ব্যবহার চলতেই থাকে। আলু ভাজা থেকে বিরিয়ানির আলু। আলু দিয়ে তৈরি যেকোনও রান্না কমবেশি সবার প্রিয়। শাক-সবজির মধ্যে আলুর জনপ্রিয়তা কম নয়। এই সবজির স্বাস্থ্যগুণও কম নয়। তবে আলু খাওয়ার সময়ে একটু সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সাদা শিস ওঠা এবং কয়েক জায়গায় সবুজের আভা রয়েছে, এমন আলুতে সোলানাইন নামক রাসায়নিক উপাদান থাকে। যেগুলো ক্যানসারের মতো মারণরোগের জন্ম দিতেও পারে।
চেরি: লাল, টকমিষ্টি স্বাদের চেরি ফল নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়। শীতকালে এই ফল বাজারে মেলে বেশি। চেরি দিয়ে তৈরি নানা স্মুদি শরীরের যত্ন নেয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, চেরি ফলে হাইড্রোজেন সায়ানাইড বেশি পরিমাণে থাকে। যা শারীরিক অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে। আপেল এবং আঙুরের বীজেও এই রাসায়নিক উপাদানটি থাকে। তাই পরিমিত পরিমাণে এসব ফল খেতে হবে। অতিরিক্ত খেলেই বিপদ।
Leave a Reply