সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতার করতে সরকারের কাছ থেকে পূর্বানুমতি নেয়ার বিধান বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতারে সরকারের পূর্বানুমতি নেয়ার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার শুনানি শেষে আজ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
আদালতে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী সরোয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও মাহবুবুল ইসলাম।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোঃ আজিজুর রহমান দুলু, সাথে ছিলেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবী মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, ‘একটি ফৌজদারি মামলা তদন্তাধীন। সেই মামলায় সুলতানা পারভীনসহ অন্যরা জামিন নেননি। পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, এসব কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের আগে অনুমতি লাগবে। এমনকি, এস এম রাহাতুল ইসলামকে ইতোমধ্যে বরিশালে পদায়ন করা হয়। এ অবস্থায় আইনের ৩ ও ৪১ (১) ধারা চ্যালেঞ্জ করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পদায়ন ও অন্যদের পদায়ন না করতে ওই রিটটি করা হয়।’
আইনের ৪১(১) ধারায় বলা হয়, ‘কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হইবার পূর্বে, তাহাকে গ্রেফতার করিতে হইলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।’
পরে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানিয়েছিলেন, ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন ৪১(১) ধারায় বিশেষ সুবিধা দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর জনস্বার্থে এ রিট করা হয়।
তিনি বলেন, একই ধরনের সুযোগ দিয়ে ২০১৩ সালে দুদক আইনের ৩২(ক) ধারা প্রণয়ন করলে জনস্বার্থে রিট হলে আদালত আইনটিকে বৈষম্যমূলক বলে বাতিল ঘোষণা করেন। একই সুযোগ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেয়ার জন্য ২০১৮ সালে প্রণীত ওই আইনের ৪১(১) ধারা আদালতের রায়ের পরিপন্থি।
Leave a Reply