প্রায় ৩৯ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। তবে এখনো থামেনি সর্বনাশা আগুন। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপো এখনো জ্বলছে। উড়ছে ধোঁয়া। বাতাসে পোড়া গন্ধ। পাওয়া গেছে ৪৯টি লাশ। ইতোমধ্যেই ২২ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার সকালে ২২ জনের লাশ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জেলা প্রশাসনের তথ্য কেন্দ্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের দফতরের এনডিসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, শনাক্ত হওয়া লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। লাশ হস্তান্তরের সময়ই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বজনদের নগদ ২ লাখ টাকার চেক ও দাফন-কাফনের যাবতীয় খরচ দেয়া হচ্ছে। যাদের লাশ এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি তাদের স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।
এদিকে সোমবার সকালে চমেক হাসপাতাল এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে যাদের স্বজনের খোঁজ মিলেনি তারা যেন হাসপাতালে অবস্থান করেন। এরপর দাবিকৃত স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষা করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগুন ও বিস্ফোরণে ৪৯ জনের নিহত হওয়ার খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরো ২০০ জনের বেশি। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুন নেভাতে গিয়ে তাদের ৯ জন সদস্য নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরো ১৫ জন। এদের মধ্যে দুজনকে রোববার সন্ধ্যায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনা হয়েছে।
Leave a Reply