স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পাহাড়ে রক্তপাত হানাহানি ও চাঁদাবাজি বন্ধে যা কিছু করা প্রয়োজন সরকার তার সব কিছুই করবেন। পার্বত্য চুক্তির আলোকেই পাহাড়ের শান্তি ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের বিশেষ ফোর্স আর্মড পুলিশের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা পাহাড়ের যে সব ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা হয়েছিল সে সব ক্যাম্পের দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙ্গামাটি পুলিশ লাইন সুখী নীলগঞ্জে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পার্বত্য আঞ্চলিক দফতর ও তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈ সিং এমপি, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ, র্যাবের মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ মামুন, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও চট্টগ্রামের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদীন, আর্মড পুলিশ এপিবিএনের আইজিপি হাসানুল হায়দারসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানগণ, তিন পার্বত্য জেলা প্রশাসক, সার্কেল চীফগণসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও সুধি সমাবেশে তিন পার্বত্য জেলার হেডম্যান কার্বারীসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাঙ্গামাটিতে ডিআইজি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের আঞ্চলিক দফতর ও তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
Leave a Reply