1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ অপরাহ্ন

অধ্যাপক তাহের হত্যা : দুজনের ফাঁসি ও দুজনের যাবজ্জীবন বহাল

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে দুই আসামির যাবজ্জীবন দণ্ডও বহাল রেখেছেন আদালত। তারা হলেন, নাজমুল আলম ও তার সম্বন্ধী আব্দুস সালাম।

আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়।

আদালতে ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আসামিপক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম।

২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে অধ্যাপক তাহেরের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। সে মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুজনকে খালাস দেন। পরে হাইকোর্ট দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে অন্য দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা দুই আসামি ছিলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম।

আর সাজা কমিয়ে হাইকোর্ট মো. জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুলের সম্বন্ধী আব্দুস সালামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। অন্যদিকে, সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ায় দুজনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী।

২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ। পরে নিয়মানুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com