করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে পাঠদান বন্ধ থাকলেও অনলাইনে অনেক কার্যক্রম চালু থাকবে। চালু থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ও। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। জরুরি প্রয়োজনে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিভিন্ন দায়িত্ব দিতে পারবেন প্রতিষ্ঠানপ্রধান। গতকাল শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১১ দফা নির্দেশনায় এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
করোনা মহামারীর কারণে দেড় বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর মাস চারেক আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে শনিবার থেকে আবারও দুই সপ্তাহের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার।
১১ দফা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা কার্যক্রম চালু থাকবে। এ ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস স্থানীয় প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের সঙ্গে সমন্বয় করবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সময় শ্রেণিকক্ষ, গ্রন্থাগার, গবেষণাগারসহ প্রতিষ্ঠানের সব বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ইন্টারনেট, পানি ও গ্যাসসংযোগ নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব
সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও সামগ্রিক নিরাপত্তার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এ ছাড়া যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাস বা ছাত্রীনিবাসে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন, তাদের সুবিধার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেগুলো খোলা থাকবে। তবে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সব দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীর অবশ্যই টিকা সনদ থাকতে হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
Leave a Reply