একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আরও একটি বিশ্বকাপের দিনক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। চলতি বছরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আসরটি। আসন্ন এই বিশ্বকাপের আগে বিপিএল অনুষ্ঠিত হওয়াটা ইতিবাচক হিসেবে মনে করেন ক্রিকেটাররা। দেশি ক্রিকেটারদের সুযোগের কথা চিন্তা করে এবারের আসরে বিদেশি ক্রিকেটার তিনজন খেলানোর নিয়ম করেছে বিপিএল গভর্নিং কমিটি।
বিপিএলের অষ্টম আসরে এসে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) কারণে বিদেশি তারকা ক্রিকেটারের সংকট ও কোভিড পরিস্থিতির কারণে আম্পায়ার না পাওয়া কিংবা ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) প্রযুক্তির ব্যবস্থা না হওয়াসহ বেশ কয়েকটি প্রতিকূলতার পরেও আসরটি আয়োজনের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন অনেকেই।
তবে এত কিছুর মাঝেও বিপিএলের স্বার্থকতা দেখছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার মতে, এই টুর্নামেন্টটি দেশীয় ক্রিকেটারদের জন্য দারুণ সুযোগ হতে পারে। এখানে পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তারা আসন্ন বিশ্বকাপের দলে ডাক পেতে পারেন। তা ছাড়াও নিজেদের ভেতর একটা সাহসিকতাও বেড়ে উঠবে বলে মনে করেন ফরচুন বরিশালের হয়ে এবারের আসরে মাঠ মাতাতে যাওয়া এই তারকা অলরাউন্ডার।
ফ্র্যাঞ্চাইজিটির জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাকিব বলেন, ‘দেশি ক্রিকেটারদের জন্য তো বড় একটা সুযোগ, বড় একটা মঞ্চ নিজেদেরকে মেলে ধরার, নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়ে জাতীয় দলে আসার। আমি বিশ্বাস করি, এখান থেকে আমরা ২ কিংবা ৩ জন নতুন খেলোয়াড় পাব যারা বাংলাদেশকে অন্তত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে।’
বিভিন্ন কিছু না থাকলেও আসরটি সুন্দর হবে বলে বিশ্বাস সাকিবের। তিনি বলেন, ‘যে প্রযুক্তিটা (ডিআরএস) ব্যবহার হচ্ছে, সেটা খুব বেশি দিন আসেনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। যদি থাকত অবশ্যই ভালো হতো। না থাকাটা একটু হতাশার। কিন্তু আমার ধারণা বিসিবি তাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। আপনারা যদি বিসিবির সিইওর সাক্ষাৎকারটা দেখে থাকেন, তারা আইসিসি পর্যন্ত চেষ্টা করেছে ডিআরএসটা আনার। যেহেতু সম্ভব হয়নি এটা নিয়ে কথা বলার আর কিছু নেই। আমার কাছে মনে হয় খুব ভালো এবং ফেয়ার একটা টুর্নামেন্ট হবে। যেখানে সেরা দলটাই জিতবে।’
Leave a Reply