‘হয় আলোচনায় আসো, না হলে সংঘাত’- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উদ্দেশে। এই কড়া রাজনৈতিক ডোজের পেছনের কী আছে? যা আছে, তার কিছুটা তো আমরা জানি; কিছুটা আঁচ করতে পারি। তারও পরে আরও গহিন কিছু বিষয় প্রায় অনুদ্ঘাটিতই থেকে যায়- যা আসলে জো বাইডেন ও পুতিন জানেন। কিছুদিন আগেই ইউক্রেন প্রশ্নে বাইডেন ফোনে বলেছিলেন পুতিনকে ইউক্রেনে আক্রমণ না চালাতে। পুতিন সেই কথার কী জবাব দিয়েছেন, তা আমরা জানি না। কেবল মিডিয়াগুলো জানিয়েছে, ইউক্রেন আক্রমণের কোনো খায়েশ নেই রাশিয়ার। তার পরও আমরা দেখতে বা জানতে পাচ্ছি, রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় আড়াই হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে। এই আলামত যে ভালো নয়, সে বিশ্লেষণ করছে পারদর্শীরা। তাদের ধারণা, এই অস্ত্র সমাবেশের পেছনে অন্য কোনো মোটিভ আছে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলে নেওয়ার পর এবারই প্রথম রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে সেনা ও অস্ত্র সমাবেশ করল। তাই বিষয়টিকে হেলা করার অবকাশ নেই। বিশ্ব রাজনীতি ও সামরিক ভারসাম্য রচনার ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অনেক।
সৈন্য সমাবেশ নিয়ে রাশিয়ার ব্যাখ্যা হচ্ছে, মহড়া দেওয়ার জন্যই তারা ওখানে জড়ো হয়েছে। কিন্তু সেটি বিশ্বাস করেনি যুক্তরাষ্ট্র। বলেছে, ইউক্রেনে আক্রমণ চালালে তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। সেটি সবারই জানা। যুক্তরাষ্ট্র চায় ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে। ইউক্রেন তো ন্যাটো জোটে ঢুকে পড়তে চাইছে অনেকটা উদগ্রভাবেই। সেটি রাশিয়ার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। রাশিয়া চায়, তার এই প্রতিবেশীকে রাজনৈতিক ও সামরিক তাপে রাখতে। তার প্রভাব রাজনৈতিক বলয়ে রাখার পেছনে আরও বহু কারণের মধ্যে আছে পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়গুলো। সোভিয়েত শাসনামলে মস্কো ইউক্রেনেই পরমাণু অস্ত্রের ভা-ার গড়ে তুলেছিল। দেশ ভাগের পর বা বলা উচিত ইউরোপের ওই দেশটিকে সোভিয়েতভুক্তির পর পশ্চিমাদের ন্যাটোর সামরিক শক্তিকে সামাল দিতেই সেটি করা হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতের কারণেই রাশিয়ার উদগ্র প্রয়াস ইউক্রেনকে তার রাজনৈতিক ও সামরিক তাপে রাখা। কিন্তু সমস্যা আরও বিষয়ের অভ্যন্তরে রয়ে গেছে। সোভিয়েত থেকে মুক্ত হওয়ার পর দেশটির ক্ষমতায় আসে সোভিয়েতের খোলস থেকে বেরিয়ে আসা রাশিয়ার অনুগত সরকার। তাদেরই পতন ঘটে জনগণের বিপ্লবের ভেতর দিয়ে ২০১৪ সালে। পশ্চিমাপন্থি সরকার চায় ন্যাটোয় ঢুকতে। রাশিয়ার বাগড়া এ কারণেই। সে সেটি হতে দিতে রাজি নয়। যেহেতু ব্রিগ ব্রাদার রাশিয়া চায় না, সেহতু খুবই নাজুক অবস্থানে পড়ে যায় ইউক্রেন।
ন্যাটো জোট যদিও প্রকাশ্যে ইউক্রেনকে নেবে না, তবুও ইউক্রেনকে সামরিক অস্ত্রের জোগান দেবে রাশিয়া আক্রমণ করলে। বেশ কয়েক মাস ধরেই ইউক্রেন প্রশ্নে রাশিয়ার সঙ্গে বিরোধে চলছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়া তার সৈন্য সমাবেশ থামায়নি। আশঙ্কা এখনো জারি আছে বিশ্ব জনমনে- যে কোনো সময় ইউক্রেনে আক্রমণ চালাতে পারে রাশিয়া। একটি ইউরোপীয় জরিপ বলছে, অংশগ্রহণকারীদের ৪৩ শতাংশ মনে করে রাশিয়া আক্রমণ করতে পারে ইউক্রেনে। ৪৩ শতাংশ যদি এটা বিশ্বাস করে ইউক্রেন দখলে নিতে চায় রাশিয়া, তা হলে তার মনস্তাত্ত্বিক চাপের কথাটি মনে রাখতে হবে আমাদের। কারণ তারা ওই রাষ্ট্রের বিষয়ে দুর্ভাবিত। এই দুর্ভাবনার মূলে আছে রাশিয়ার রাজনৈতিক ও সামরিক দৃষ্টিভঙ্গি ও ক্ষমতার আচরণ।
দুটি বিষয় স্পষ্ট যে, রাশিয়া তার সোভিয়েত আমলের ইউক্রেনকে আবারও আজ্ঞাবহ করতে চায়। আর যুক্তরাষ্ট্র চায় দেশটি তার সার্বভৌমত্ব নিয়ে অটুট থাক এবং পশ্চিমা জোটে আসন নিক। দুইপক্ষের এ চাওয়া নিয়েই মূলত সংকটের সূচনা। সোভিয়েত থেকে মুক্ত হয়ে ইউক্রেনের রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবন কেমন আছে, এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দেশের জনগণের স্বাধীনতার সাংস্কৃতিক বোধ। তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা। তাদের বেঁচে-বর্তে থাকার সংগ্রামেরও স্বাধীনতা। সব মিলিয়ে তারা স্বাধীন এবং এই চেতনায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ২০১৪ সালে দনবাসের রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহায্য পেয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু ইউক্রেন যদি আক্রান্ত হয়, তা হলে দেশের জনগণ মানবওয়াল হয়ে দাঁড়াবে। রাশিয়া প্রশ্নে ইউক্রেনের জনগণ একতাবদ্ধ। যে কোনো মানবওয়াল যে কোনো আগ্রাসী শক্তিকে রুখে দিতে পারে। নিরস্ত্র জনগণের সামনে সশস্ত্র সৈন্যদের মারণযন্ত্র কাজ করে না। ইতিহাসে, রাজনৈতিক আন্দোলনে, গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী পরাজিত হয়েছে নিরস্ত্র জনতার কাছে। এ কারণেই এটা বলা যায়- রাশিয়ান আগ্রাসন যদি সত্যই ঘটে, তা হলে সে দেশের জনগণ রুখে দাঁড়াবে। দ্বিতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে সেই কথা জোরের সঙ্গেই বলেছেন জো বাইডেন। তৃতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ দেয়, তা হলে নানা রকম সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে রাশিয়া। তাই জরিপে অংশগ্রহণকারী বেশি সংখ্যক মানুষ মনে করে, রাশিয়া আগ্রাসন চালাবে না। আমাদের বিচারেও এ সত্যই উঠে আসে যে, রাশিয়া এ ভুল করবে না। যদি করে, আগ্রাসন চালায়- তা হলে আমাদের সামনে উদাহরণ হিসেবে আছে ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের কুয়েত দখলের ইতিহাস। সাদ্দামের পরিণতি কী হয়েছে এবং ইরাকের কপালে কী দুর্য়োগ ও দুর্বিপাক নেমে এসেছে, তার কিছু অংশ তো রাশিয়ার কপালেও জুটতে পারে!
দুই.
বিশ্ব রাজনীতির মোড়লদের সামরিকবিদ্যার চেয়েও বাণিজ্যিক নেশা অনেক বেশি ও বড়। রাশিয়ার অবশ্য ইউক্রেন প্রশ্নে অন্য কোনো দেশের কাছে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির কোনো কারণ নেই। কিন্তু আছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর দেশগুলোর। ইউক্রেন নিয়ে দুই পরাশক্তির মধ্যে যে বাহাস, তার সমাধানে আছে কূটনৈতিক পথ উন্মুক্ত রাখা। জো বাইডেন অবশ্য সেই দরজা-জানালা খুলেই প্রতিপক্ষের সামনে জোর গলায় কথাগুলো বলেছেন। অর্থাৎ আলোচনার টেবিলে আসো।
রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলেই কেবল যেতে হবে না, তাকে এটাও মেনে নিতে হবে যে- ইউক্রেনকে তার রাজনৈতিক পরিধির মধ্যে নিয়ে আসতে পারার বাসনা ত্যাগ করতে হবে। বল একবার কোর্টের বাইরে চলে গেলে, তাকে নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি অসম্ভব হয়ে পড়ে। দ্বিতীয়ত, সেই দেশের [ইউক্রেন] জনগণের মন ও মানসে যে স্বাধীনতার সুবাস বইছে, সেই মুক্ত আকাশ তারা রাশিয়ার মতো রাজনৈতিক চাপের মধ্যে ঢুকে যেতে দেবে বলে মনে হয় না। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাশিয়াপন্থি সরকারের পতনের পর ইউরোপপন্থিরা এখন দেশের শাসনক্ষমতায়।
গত রবিবার [১০-০১-২২] থেকে জেনেভায় শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে ইউক্রেন সংক্রান্ত কূটনৈতিক পর্য়ায়ের আলোচনা। সপ্তাহব্যাপী আলোচনার আয়োজক ন্যাটো ও অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ [ওএসসিই]। সেখানে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গই রিয়াকভ আর মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েন্ডি শারম্যান নিজ নিজ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ইউক্রেন প্রশ্নে কোনো রকম ছাড় দেবে না রাশিয়া- বলেছেন রিয়াবকভ। রাশিয়া কোনোভাবেই ইউক্রেনের ন্যাটোভুক্তি মেনে নেবে না। তবে ইউক্রেন ন্যাটোভুক্তির জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। সেটিই হচ্ছে রাশিয়ার জন্য খারাপ খবর।
এখানে আরও একটি বিষয় আলোচনা করা যেতে পারে। তা হলো ইউক্রেনের ন্যাটোর দিকে ঝোঁকায় রাশিয়া ঝুঁকে যায় চীনের দিকে। সে মনে করে- পরাশক্তি আমেরিকাই কেবল নয়, তার সামরিক বলয় ন্যাটোর দাপটকে সামাল দিতে হলে নতুন পরাশক্তি চীনের সহযোগ দরকার। শত্রুর শত্রু যে বন্ধু হয়ে উঠতে পারে, সেটি তো দেখতে পাচ্ছি আমরা। তা ছাড়া ইতিহাসের নানা অধ্যায়ে তার নমুনাও আছে।
কূটনীতির ক্ষেত্রে একে একটি স্বাভাবিক রীতি বলা যায়। উদাহরণ হিসেবে ভারতের কথা বলা যেতে পারে। ভারত বহুদিন ধরেই মার্কিনপন্থি। সাম্প্রতিক কয়েক মাসে সে রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনায় যুক্তরাষ্ট্র খুবই বেজার। রাশিয়ার এস৪০০ মিসাইলবিধ্বংসী অস্ত্র কেনায় যুক্তরাষ্ট্র ক্ষেপেছে। কিন্তু প্রকাশ্যে কিছু বলেনি। এটিই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্বভাব। ভারত ওই অস্ত্র চীনা সীমান্তে মোতায়েন করবে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বলা যায় ভারতের সম্পর্ক ফরমাল। চীনের সঙ্গেও একই রকম সম্পর্ক রাশিয়ার। সম্পর্ক ওঠা-নামার মধ্যেও আছে সামরিক বাণিজ্য। যুদ্ধ বাধাও আর অস্ত্র বেচো- এই নীতি আজও জীবন্ত। পরাশক্তি [গুলো] যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার চেয়ে শক্তিমত্তায় চীন এগিয়ে। রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেমন বৈরিতা আছে চীনের, তেমনি সহযোগিতাও আছে। তাইওয়ান প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র চীনবিরোধী। কিন্তু তাইওয়ানের স্বীকৃতির ব্যাপারে সে চীনের পক্ষে। আবার দক্ষিণ চীন সাগরের সম্পদ চীন একা দখলে নিয়েছে। সে কারণেও যুক্তরাষ্ট্র নাখোশ। প্রায়ই সে দক্ষিণ ও উত্তর চীন সাগরে সামরিক নৌটহল দেয়। চীন একে হুমকি হিসেবে প্রতিবাদ করলেও কূটনৈতিক স্তরে এসব বিরোধ মিটমাট হয়ে যায় বা চাপা পড়ে থাকে ভবিষ্যতে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার জন্য। এই সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির আয়োজনকে আমরা যখনই বিশ্ব কনফ্লিক্ট হিসেবে দেখি না কেন, তাদের বড় স্বার্থ বাণিজ্য। ইউক্রেন সংকট যদি যুদ্ধের পরিণতিতে গড়ায়, তা হলে ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ড ও বাল্টিক দেশগুলোয় অস্ত্র সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। অস্ত্র তো বাণিজ্যের অংশ। শাদা চোখে যতই তাদের জন্য সামরিক সাহায্য হোক না কেন, পেছনে বাণিজ্যের প্রবাহ চালু থাকেই।
ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ চালাবে না। তবে চলবে সামরিক রণহুঙ্কার। সেই সঙ্গে যুদ্ধের দামামা বাজতে থাকলে বিশ্বের মানবিক পৃথিবী কেঁপে উঠবে ভয়ে। তারা উভয়পক্ষে বিভক্ত হয়ে যাবে এবং অস্ত্রের, প্রচলিত অস্ত্রের ও পারমাণবিক ওয়ারহেডের জোগানও চলতে থাকবে। ব্যবসাটি হওয়ার পর দুই জায়ান্ট আলোচনার টেবিলে বসে অনেক ছাড় দিয়ে মীমাংসায় আসবে। সের্গেই রিয়াকভ যতই ছাড় দেবেন না বলুন না কেন, কূটনীতিতে সাফল্য আসে মূলত সমঝোতায়। আর সমঝোতা হচ্ছে যা চাই, তার অনেকটাই ছেড়ে দিয়ে পারস্পরিক ভারসাম্য রচনা করা। এই বিষয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যেমন যথেষ্ট পারঙ্গম, তেমনি চীনও। আপাতদৃষ্টিতে ইউক্রেন প্রশ্নে চীনকে নীরব থাকতেই দেখা যাচ্ছে। ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রে ইউক্রেন পশ্চিমা বিশ্বের দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু এই দূর কোনো দূর নয় বিশ্ব রাজনীতির ক্ষেত্রে। যুক্তরাষ্ট্র তো বহুদূরের দেশ রাশিয়া ও চীনের কাছে। তার পরও দক্ষিণ ও উত্তর চীন সাগরে তার হিস্যা আছে বলে মনে করে। বিশেষ করে মালাবার স্ট্রেইট ধরে বিশ্ব বাণিজ্যের সিংহভাগ জাহাজ চলাচল করে। সেই সুতো ধরেই তো মার্কিনিদের নৌবাহিনীর রেগুলার মহড়া ও আসা-যাওয়া চলছে।
এখন ইউক্রেন সংকট কূটনৈতিক আলোচনার টেবিলে। এক সপ্তাহ পর বোঝা যাবে রাজনৈতিক বাণিজ্যের তীরটি কত বেগে ছুটছে এবং তার গতিপথ কোনদিকে। সংকট জিইয়ে রাখাই আন্তর্জাতিক কূটনীতির আদর্শ। আপাতত ইউক্রেন আক্রান্ত হবে না বলেই বিবেচনা করা যায়।
ড. মাহবুব হাসান : কবি ও সাংবাদিক
Leave a Reply