স্বাধীনতার ৭৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে একজন নারী বিচারপতি হচ্ছেন। সুপ্রিমকোর্টে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের অনুমোদন পেয়েছেন আয়েশা মালিক। খবর এনডিটিভির।
দেশটিতে বিচারপতিদের পদোন্নতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় জুডিশিয়াল কমিশন অব পাকিস্তান (জেসিপি)। ৫৫ বছর বয়সী আয়েশা মালিককে পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি করার পক্ষে বৃহস্পতিবার ভোট দেয় নয় সদস্যের জেসিপি।
ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের এমপি ও আইনবিষয়ক সংসদীয় সচিব মালেকা বোখারি এ বিষয়ে একটি টুইট করেছেন। টুইটে তিনি বলেন, একজন মেধাবী আইনজীবী ও সুদক্ষ বিচারকের পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টের প্রথম নারী বিচারপতি হওয়ার বিষয়টি তার দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় মুহূর্ত।
ঐতিহাসিক হলেও এ পদক্ষেপ নিয়ে পাকিস্তানে বিভক্তি আছে। গত বছর দেশটির শীর্ষ আদালতে আয়েশা মালিকের পদোন্নতি জেসিপিতে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। কারণ, তখন জেসিপির সদস্যরা আয়েশা মালিকের পদোন্নতির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। জেসিপিতে যে ভোটাভুটি হয়েছে, সেখানে বিভক্তির চিহ্ন স্পষ্ট হয়। কারণ, আয়েশা মালিকের পদোন্নতির পক্ষে পড়ে পাঁচ ভোট। বিপক্ষে চার ভোট।
দেশটির অনেক আইনজীবী ও বিচারক নিজস্ব ফোরামের ভেতরে-বাইরে এ পদক্ষেপের বিরোধিতা করছেন। তারা বলছেন, পদোন্নতি অনুমোদনের ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট মানদ- অনুসরণ করা হয়নি। একই সঙ্গে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে।
ইসলামাবাদভিত্তিক আইনজীবী ও অধিকারকর্মী ইমান মাজারি-হাজির বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, জেসিপির স্বেচ্ছাচারী ও অস্বচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
দেশটির আইনজীবীদের কয়েকটি সংগঠন বলছে, সুপ্রিমকোর্টে নিয়োগের লক্ষ্যে বিচারক মনোনয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট মানদ- তৈরির জন্য তারা দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু তাদের দাবি উপেক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়োগের বিরুদ্ধে তারা ধর্মঘট ও আদালতের কার্যক্রম বয়কট করার হুমকি দিয়েছে।
Leave a Reply