কখন লিওনেল মেসি নামবেন মাঠে-এমন ভাবনায় স্তাদ অগোস্ত-দোলন স্টেডিয়ামে সমর্থকদের যেন অপেক্ষার প্রহর কাটছিল না। লিগ ওয়ানে মেসির অভিষেকের অপেক্ষার অবসান ঘটে ৬৬ মিনিটে এসে। নেইমারের জায়গায় নামলেন মেসি। সমর্থকদের মধ্যে তখন উচ্ছ্বাস। তার আগেই অবশ্য কিলিয়ানো এমবাপ্পের জোড়া লক্ষ্যভেদে মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল এগিয়ে। আর এই দুটি গোলের সুবাদেই রেইমসকে হারিয়ে মেসির অভিষেক ম্যাচটি রাঙিয়েছে পিএসজি।
আগে থেকে ইঙ্গিত মিলেছিল লিওনেল মেসির রেইমসের বিপক্ষে অভিষেক হবে। যদিও মূল একাদশে ছিলেন না ছয়বারের ব্যালনডিঅর জয়ী এই তারকা। তাকে ছাড়াই পিএসজি অবশ্য ৪-৩-৩ ছঁকে এগিয়ে যায়।
বল দখলে এগিয়ে থেকে ম্যাচ ঘড়ির ১০ মিনিটে এমবাপ্পে প্রথম সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেনি। ফ্রেঞ্চ এই তারকার শট বাইরের জাল কাঁপায়। ছয় মিনিট পর এমবাপ্পেকে আর হতাশ হতে হয়নি। দ্য মারিয়ার কর্নারে কিলিয়ানো এমবাপ্পে লাফিয়ে উঠে জোরালো হেডে জাল কাঁপান। পিছিয়ে থেকে রেইমস গোল শোধ দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে সফল হতে পারেনি।
৪১ মিনিটে মরেতো কাসামার জোরালো শট ক্রস বার ছুঁয়ে গেল হতাশ হতে হয়েছে স্বাগতিকদের দর্শকদের। বিরতির পরও রেইমস আক্রমণ কম করেনি। কিন্তু গোলের দেখা মিলেনি। ৫২ মিনিটে সতীর্থের ক্রস থেকে মরেতো কাসামার হেড নাভাস ফিরিয়ে দেন,ফিরতি বলে মার্শাল মুনেতসি বল জালে জড়িয়ে দেন। কিন্তু অফসাইডের কারণে গোল হয়নি। ৬১ মিনিটে তাদের আরও একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে নাভাস তালুবন্দী করেন।
দুই মিনিট পর পিএসজি এগিয়ে যায়। আশরাফ হাকিমির ডান প্রান্তের ক্রসে কিলিয়ানো এমবাপ্পে প্লেসিং করে দেন। ৬৬ মিনিটে নেইমারের জায়গায় মেসি নামেন, ৩০ নম্বর জার্সি পড়ে। এসময় দর্শকদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। নেমেই স্বভাবসুলভ পায়ের কাজও কিছুটা দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তবে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা তাকে ভালোই মার্কিংয়ে রেখেছেন। ফাউলের শিকারও হতে হয়েছে সাবেক বার্সা তারকাকে।
৯০ মিনিট শেষে ২-০ স্কোরলাইন রেখেই পিএসজি মাঠ ছেড়েছে। আর এরই সঙ্গে বার্সেলোনার সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে পিএসজির হয়ে অভিষেক ম্যাচে জয় দেখলেন লিওনেল মেসি। বার্সার বাইরে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় অধ্যায়ের শুরুটা নেহায়েত মন্দ নয়!
Leave a Reply