1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন

লকডাউনে আটকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে হত্যার এক বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের বাহারছড়া পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে তিনি প্রাণ হারান। এ ঘটনায় তার বোনের করা হত্যা মামলায় র‌্যাবের দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন আদালত। তবে চলমান লকডাউনের কারণে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শুরু হয়নি সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। গত ২৬ জুলাই এ বিষয়ে দিন ধার্য ছিল।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, আসামিদের উপস্থিতিতেই

গত ২৭ জুন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল মামলাটির চার্জগঠন করেন। সেই সঙ্গে ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই টানা তিন দিন বাদীসহ ১৫ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করে আদেশ দেন বিচারক। কিন্তু করোনার কারণে লকডাউন থাকায় বন্ধ রয়েছে আদালতের কার্যক্রম। তাই নির্ধারিত সময়ে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। পরবর্তী দিন ধার্য করে তা সম্পন্ন করা হবে। এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার সন্তোষ বড়ুয়া বলেন, ‘লকডাউনের পরে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হলে জেলা ও দায়রা জজ নতুন করে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করবেন।’

সিনহা হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘৮৩ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই। লকডাউনের কারণে তা পেছানো হয়েছে। তবে আমরা যে কোনো সময়ের জন্যই প্রস্তুত আছি। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণার দিকে যাবেন আদালত।’

আদালতে দেওয়া চার্জশিট সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের এপিবিএন চেকপোস্টে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন সিনহা। হত্যাকা-ের পাঁচ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট নিহতের বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে নয়জনকে আসামি করে টেকনাফ মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকতকে প্রধান ও টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে দ্বিতীয়, পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিতকে তিন নম্বর আসামি করা হয়।

মামলাটির তদন্তভার পায় র‌্যাব-১৫। ঘটনার চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত এবং ৮৩ জনকে সাক্ষী করে আলোচিত মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব ১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। মামলায় অভিযুক্ত ও কারাগারে আটক থাকা ১৫ আসামি হলেন- বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন। এর মধ্যে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ, কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com