ম্যাচের শুরুতেই লিউক শ গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে ম্যাচের গতি। দ্বিতীয়ার্ধে এসে গোল শোধ দেয় ইতালি। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে, সেখানেও কোনো গোল না হওয়াতে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুমার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা নিজেদের করে নেয় ইতালি। পুরো টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন তারা।
রোববার রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ১-১ গোলে ড্র হলে টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জিতে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা তুলে ধরে ইতালি। এ নিয়ে কোচ রবের্তো মানচিনির কোচিংয়ে টানা ৩৫ ম্যাচে অপরাজিত ইতালি।
বাঁশি বাজার এক মিনিট ৫৭ সেকেন্ডেই এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। দ্রুততম সময়ে গোল করে ইউরোর রেকর্ডবুকে নাম লেখান ইংলিশ ডিফেন্ডার লিউক শ। এগিয়ে গিয়ে ইতালির উপর চাপ সৃষ্টি করে ইংলিশরা। ম্যাচের প্রথমার্ধে ইতালি ৬৫ শতাংশ বল দখলে রাখলেও খুব একটা সুবিধা করতে দেয়নি ইংলিশরা। উল্টো আক্রমণে ইতালিকে দুর্বল করে রাখে হ্যারি কেইনরা।
দ্বিতীয়ার্ধে এসে ফরমেশনে পরিবর্তন আনে ইতালি। এতেই বদলে যায় খেলার ধরন। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ইংল্যান্ডের রক্ষণ কাঁপিয়ে তোলে তারা। ৬৭ মিনিটে ইতালিকে সমতায় ফেরান বোনুচ্চি। উল্লাসে ফেটে পড়ে স্টেডিয়ামে এক পাশ। সমতায় ফেরার পর দু’দলই ম্যাচের ভাগ্য নিয়ে যায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখান থেকে টাইব্রেকারে।
পেনাল্টি শুটআউটে ইংল্যান্ডকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় ইতালি। ১২০তম মিনিটে মাঠে আসা জাদন সানচো ও মার্কাস রাশফোর্ডের শট ঠেকিয়ে দেন ইতালির গোলরক্ষক।
Leave a Reply