টেমসের বুকের জলধারা অস্থির। ছুটে ছুটে মিশে যেতে চাইছে ওয়েম্বলিতে জনসমুদ্রের সঙ্গে। পুরো ইংলিশ জাতির সঙ্গে মেতে উঠেছে বৃটেন। চারদিকে উত্তেজনা। যদি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড তাহলে আজ জনতার বিস্ফোরণ ঘটবে। পুরো ইংল্যান্ডের ঘরে ঘরে বাধভাঙ্গা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়বে। রাস্তায় রাস্তায় কি হবে- সে কথা কল্পনা করাও কঠিন। এমনই এক ইতিহাস গড়ার মুহূর্তে এসে পুরো ইংল্যান্ড টিমকে শুভ কামনা জানিয়েছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
এরই মধ্যে বিভিন্ন পাব ও বার বুকিং হয়ে গেছে। ভক্তরা এবং উৎসুক সমর্থকরা আগে আগেই হাজির হবেন এসব স্থানে। পুরো ইংল্যান্ড আজ সারারাত থাকবে উৎসবের আমেজে। যদি রবার্তো মানচিনির ইতালির বিরুদ্ধে তারা জয় পায় তাহলে ইংল্যান্ড হয়তো আনন্দে ফেটে পড়বে। বিস্ফোরণের মতো গর্জে উঠবে সব কণ্ঠ। এর জন্য প্রস্তুত রাজপ্রাসাদ থেকে শুরু করে রাস্তায় পড়ে থাকা সাধারণ মানুষ পর্যন্ত। তাদের সঙ্গে যোগ দেবে টেমসের জলরাশি। লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে বাতাসে মিশে যাবে। ছুঁয়ে দেখবে স্বদেশের মানুষের প্রাণস্পন্দন। মিশে যাবে দেশাত্ববোধের ভালবাসায়। তারই যেন আভাস বরিস জনসনের কণ্ঠে। তিনি কোচ সাউথগেট এবং স্কোয়াডকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক এক বড় প্রতিযোগিতার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে নিয়ে এসেছেন আপনারা। এই দেশের বেশির ভাগ মানুষের সামনে এটাই তাদের পুরো জীবদ্দশায় প্রথমবার ঘটতে চলেছে। আপনারা পুরো দেশের উদ্দীপনাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন। রোববার আমরা জানি, আপনারা ওই ট্রফিটিও উচ্চে তুলে ধরতে পারবেন। আমরা শুধু আশা আর প্রার্থনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আমরা বিশ্বাস করি আপনি গ্যারেথ এবং আপনার পুরো স্কোয়াড তা পারবে। পুরো জাতির পক্ষ থেকে আপনাদেরকে শুভ কামনা।
রানী এলিজাবেথ লিখেছেন, ৫৫ বছর আগে, আমার সৌভাগ্য হয়েছিল বিশ্বকাপের ট্রফি ববি মুরের হাতে তুলে দেয়ার। তখন দেখেছি, এই ট্রফি খেলোয়াড়, ব্যবস্থাপনা এবং সমর্থকদের কাছে কি অর্থ বহন করে। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে পৌঁছার জন্য আমার পুরো পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাই। আগামীকালের (রোববারের) জন্য শুভকামনা জানাই। আশা করি, ইতিহাস শুধু আপনাদের সফলতাই রচনা করবে এমন নয়। একই সঙ্গে উদ্দীপনা, কমিটমেন্ট এবং গর্ব আমাদের স্পর্শ করবে।
Leave a Reply