ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে স্ত্রীকে গুম করার ঘটনার ৭ মাস পর ঘাতক স্বামী মো. ইকবাল (৩৫) ও শ্যালিকা আরিফা আক্তারকে (২০) আটক করেছে পুলিশ। আটক আরিফা গুম হওয়া মোহনার (২৫) স্বামীসহ কদমপুর ভাড়া থাকতেন।
আটকের পর দিনভর চেস্টায় ইকবালের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার চর কদমপুর এলাকার ভাড়া বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে স্ত্রী মোহনার কয়েকটি হাড় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মৃত মোহনার ফুফু হালিমা জানান, উপজেলার বাস্তা ইউনিয়নের বটতলী গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে ইকবালের সঙ্গে ৬ বছর আগে বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের ভাওয়ারভিটি গ্রামে মামার বাড়িতে বড় হওয়া রহিমা বেগমের মেয়ে মোহনার। অভাবের কারণে মোহনার মা তার ছোট মেয়ে আরিফাকে মেয়ের বাড়ি রেখে বিদেশে চলে যান। এরপর থেকে অশান্তি শুরু হয় ইকবাল মোহনার সংসারে।
ছোট বোন আরিফা তার দুলাভাই ইকবালের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। আরিফাকে অন্যত্র বিয়ে দিলেও দুলাভাই ইকবাল ফুসলিয়ে পালিয়ে যান। এক সময় এলাকাবাসী ইকবাল ও শ্যালিকা আরিফাকে সালিস বৈঠক করে আলাদা করে দেয়। পরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে জেলখানার পেছনে চর কদমপুর এলাকায় বাসা ভাড়া নেয়। তবুও ইকবাল শ্যালিকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।
মোহনার মা বলেন, ‘গত নভেম্বর মাসের ২২ তারিখ শুনি আমার বড় মেয়ে মোহনা বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। তবে আমার সন্দেহ হয় ইকবাল আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে। গত শুক্রবার মেয়ের জামাই ইকবাল ও ছোট মেয়ে আরিফার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করি। পরদিন শনিবার জামাই ইকবাল ও ছোট মেয়ে আরিফাকে আটক করে পুলিশ।’
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির আটকের খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গুম হওয়া মোহনার স্বামী ইকবালের দেওয়া তথ্যমতে, কয়েকটি হাড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাকি কঙ্কাল উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ।’ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা গেছে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব পিআইবিকে দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply