শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (৩৮)। গতকাল রোববার গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
জানা গেছে, হাফেজ মাহমুদুল হাসান পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ছোট বুইচাকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানার পম সাজাহান পুর দারুস সালাম কেরাতুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম (প্রধান শিক্ষক)।
ভুক্তভোগী ও থানা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন গত ১২ মে বুধবার অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ভুক্তভোগী ছাত্রকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ কথা-বার্তা বলে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এক পর্যায়ে জোরপূর্বক ওই ছাত্রকে বলাৎকার করেন শিক্ষক মাহমুদুল হাসান। ঘটনা গোপন রাখতে হুমকিও দেন তিনি। বলেন, কাউকে জানালে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া হবে ওই শিক্ষার্থীকে। রাতে নির্যাতনের পর সকালে বাড়ি ফিরে যায় ওই ছাত্র।
ঘটানর বেশ কিছুদিন পরে মাদ্রাসায় যেতে অনিহা দেখায় সে। কারণ জানতে চাইলে এক পর্যায়ে মামাকে বিষয়টি জানায় ওই ছাত্র। পরে ভুক্তভোগীর মামা ওই প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে গত শনিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর একদিন পরেই ওই মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষককে।
ভুক্তভোগীর মামা বলেন, আমার ভাগ্নের বাবা দেশের বাইরে থাকেন। মা থাকেন পার্শ্ববর্তী থানা নড়িয়ায়। তাই ভাগ্নে আমাদের কাছেই রেখে পড়াশুনা করাচ্ছি। তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করেছি যাতে ভালো পথে যায়। কিন্তু মাদ্রাসার শিক্ষক তার সাথে এমন কাজ করলো। তিনি দাবি করেন, ওই হুজুরের বিরুদ্ধে আগেও এমন অভিযোগ ছিল। তারপরও তার বিরুদ্ধে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কোনোরকম ব্যবস্থা নেয়নি।
ভেদরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশীদুল বারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অভিযুক্তকে ধরে নিয়ে এসেছি। ভুক্তভোগী ছাত্রকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
Leave a Reply