চলতি মাসের ১৯ তারিখ থেকে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে চূড়ান্ত দিনক্ষণ নির্ধারণ হয়নি। সংশ্লিষ্ঠরা বলছেন করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আপাতত পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়।
এ বিষেয়ে সিলেটে অবস্থিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষা পেছানো ছাড়া উপায় নেই। কারণ প্রাথমিক আবেদনের কাজই শেষ করা যায়নি। চলমান বিধিনিষেধের পর প্রাথমিক আবেদনের জন্য ১০ দিন সময় বাড়ানো হবে।
তিনি আরো বলেন, এখন যদি ১৬ জুন পর্যন্ত বিধিনিষেধ থাকে তাহলেও প্রাথমিক আবেদন করতে ২৬ জুন পর্যন্ত চলে যাবে। তারপর আবার চূড়ান্ত আবেদন। এসব করতে সময় লাগবে। এই অবস্থায় কবে এই পরীক্ষা হবে, তার তারিখও ঘোষণা করা যাচ্ছে না। আগামী শুক্রবার সভা করে পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানিয়ে দেয়া হবে।
এবার প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। গত শিক্ষাবর্ষে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষির প্রাধান্য থাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করেছিল। গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে একজন ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী নিজ নিজ বিভাগে একটি পরীক্ষা দিয়েই যোগ্যতা ও আসন অনুযায়ী যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মোট তিনটি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে একটি পরীক্ষা হবে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য, আরেকটি মানবিকের জন্য এবং অন্যটি ব্যবসায় শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের জন্য।
১৯ জুন মানবিক বিভাগের, ২৬ জুন বাণিজ্যের ও আগামী ৩ জুলাই বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হলো অনলাইনে নয়, সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা হবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন হবে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে। কিন্তু কবে এই পরীক্ষা হবে, তা অনিশ্চিত। শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ ও আর্থিক খরচ কমাতে গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
Leave a Reply