নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়দল হক কচির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তার ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাপন্থীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজারের থানাসংলগ্ন জাহান ট্রেডার্সে এ হামলা হয়।
পরে আহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী।
সেতুমন্ত্রীর ভাগ্নে ফখরুল ইসলাম রাহাত জানান, দুপুরে কচি তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসে ছিলেন। এ সময় কাদের মির্জার অনুসারী কোম্পানীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মানিক তালুকদার, ফখরুল ও পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়র্ডের শিপনের নেতৃত্বে দোকানে অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে কচি মাথায় আঘাত পেয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে পাশের ব্যবসায়ীরা উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। কাদের মির্জার এক অনুসারী দাবি করেন, এ সময় শিপন নামে তাদের এককর্মী আহত হয়েছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, মির্জার দু’অনুসারী প্রথমে কচির দোকানে গিয়ে হামলা করে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থলে কাউকে পায়নি। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। আবদুল কাদের মির্জা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্বে গত পাঁচ মাসে উপজেলায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। দ্বন্দ্বের জেরে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক সাংবাদিকসহ দু’জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে। এ নিয়ে একাধিক মামলা তদন্তাধীন। এরপরও বন্ধ হয়নি দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাত। কয়েক দিন পর পরই উভয় গ্রুপের অনুসারীরা সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়ছেন। আর এসব সঙ্ঘাতে এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করছেন।
Leave a Reply