নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি নিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছিলেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গোলাম রাব্বানী। সে বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। গতকাল রোববার এ ভাইরালকাণ্ডের পর রাব্বানীকে সাসপেন্ড করা হয়। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. মুহিদ উদ্দিন। তিনি জানান, গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যাহার করে তাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পেশার বাইরে গিয়ে কেন অপেশাদার আচরণ করেছেন- এটা জানতে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার ও ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
ফেসবুক লাইভে এসে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের প্রশংসা করে গোলাম রাব্বানী বলেন, মামুনুল হক হুজুরের একটি ভিডিও দেখলাম। যে ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রীকে নিয়ে একটা রিসোর্টে গেছেন তিনি। অধিকাংশ সাংবাদিক সেখানে চিল্লাপাল্লা করে তার কাবিননামা দেখতে চাচ্ছে। আমার প্রশ্ন- সাংবাদিককে এই অধিকার কে দিয়েছে। আপনি যে কাবিননামা দেখবেন, আপনাকে এই অধিকার কি রাষ্ট্র দিয়েছে? আমি তো পুলিশের চাকরি করি, আমার জানা নাই। ভণ্ডামির একটা সীমা আছে। যদি স্ত্রী ব্যতীত অন্য কাউকে নিয়ে যেত, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতো। মিডিয়ার মাধ্যমে এমন একটা আলেম মানুষকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ ধরনের হেনস্তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গোলাম রাব্বানীর ভিডিওটি দেখুন-
Leave a Reply