যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনে বিচার শুরুর এক সপ্তাহ আগেই ট্রাম্পের পক্ষের আইনি লড়াইয়ের দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন পাঁচ কৌঁসুলী। ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, আইনি লড়াইয়ের কৌশল নিয়ে ট্রাম্পের সাথে মতবিরোধের জেরে তারা সরে দাঁড়িয়েছেন।
দ্বিতীয় দফায় অভিশংসনে বিচার শুরু হওয়ার আগে এই নাটকীয় ঘটনায় ট্রাম্প কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন, যেখানে বিচারে তার পক্ষে লড়ার জন্য আইনজীবী পেতে হিমশিম খাচ্ছেন।
ট্রাম্পের পক্ষের আইনি লড়াইয়ে দলের নেতৃত্বে বিবেচনা করা বুচ বাওয়ার্স ও ডেবোরাহ বারবিয়ার আর ট্রাম্পের পক্ষে লড়ছেন না। ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, নিজস্ব সম্মতিতেই তারা ট্রাম্পের পক্ষে আইনি লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
এ ছাড়া সম্প্রতি দলে যোগ দেয়া নর্থ ক্যারোলিনার আইনজীবী জোশ হাওয়ার্ডও সরে দাঁড়িয়েছেন। ট্রাম্পের ডিফেন্স দলের সাথে সংশ্লিষ্ট অপর এক সূত্র জানিয়েছে, সাউথ ক্যারোলিনার জনি গ্যাসের ও গ্রেগ হ্যারিসও আর দলের সাথে নেই।
অন্য কোনো আইনজীবী এখনো ট্রাম্পের পক্ষে আইনি লড়াইয়ের ঘোষণা করেনি।
ঘনিষ্ট একটি সূত্র সিএনএনকে জানায়, ট্রাম্প আইনজীবীদের কাছে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালিয়াতি ও ফলাফল তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়ে আইনজীবীদের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা এর বদলে দায়িত্ব ছাড়ার পর সাবেক প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের বিচার করার আইনগত বৈধতার বিষয়ে জোর দিতে চাইলে ট্রাম্প এতে দ্বিমত করেন।
এই মতভেদের জেরেই ট্রাম্পের আইনি লড়াইয়ের দল ছেড়ে যান এই আইনজীবীরা।
আইনজীবীদের অগ্রিম কোনো সম্মানী দেয়া হয়নি এবং ট্রাম্পের পক্ষে লড়ার জন্য কোনো খসড়া চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়নি।
সিএনএনকে ট্রাম্পের সাবেক প্রচারণা উপদেষ্টা জেসন মিলার বলেন, ‘ডেমোক্রেটদের দায়িত্বের মেয়াদ শেষ করা এক প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের চেষ্টা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক এবং আমাদের দেশের জন্য ভয়াবহ খারাপ। ইতোমধ্যেই ৪৫ সিনেটর এই প্রচেষ্টাকে ‘অসাংবিধানিক’ হিসেবে ভোট দিয়েছেন। আমরা যথেষ্ট কাজ করেছি কিন্তু আমাদের আইনজীবী দলের কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। শিগগির এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সাউথ ক্যারোলিনার কলোম্বিয়ার খ্যাতনামা আইনজীবী বাওয়ার্স যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের অধীনে বিচার বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাউথ ক্যারোলিনার আইনজীবী বারবিয়ার গুরুতর বিভিন্ন মামলায় কাজ করেছেন। এ ছাড়া নিজস্ব আইনি প্রতিষ্ঠান চালুর আগে ১৫ বছর তিনি ফেডারেল প্রসিকিউটর হিসেবে কাজ করেছেন।
গ্যাসের ও হ্যারিস দুইজনই সাবেক ফেডারেল প্রসিকিউটর। দুইজনই বারবিয়ারের সাথে কাজ করেছেন।
হাওয়ার্ড এর আগে ক্লিনটনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে হোয়াইটওয়াটার ও মনিকা নিউনাস্কিরর তদন্তে স্বাধীন পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। এ ছাড়া নর্থ ক্যারোলিনা রাজ্যের বোর্ড অব ইলেকশনসের চেয়ারম্যান হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
সূত্র : সিএনএন
Leave a Reply