দেশ-বিদেশে ভেষজ-হারবালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অন্যান্য ওষুধের মতো বর্তমানে হারবাল ওষুধও এখন রোগ প্রতিরোধে বেশ কার্যকর। মানবদেহের যে কোনো জটিল ও কঠিন রোগ নির্ণয়ে সহজলভ্য হচ্ছে। কেননা এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
মানবদেহের গ্যাস্ট্রিক বা পাকস্থলীর প্রদাহে সাধারণত সঠিক সময়ে খাবার না খাওয়া, ভেজালযুক্ত খাবার খাওয়া, গুরুপাক জাতীয় খাবার খাওয়া এবং অতিরিক্ত ভোজন গ্যাস্ট্র্রাইটিস রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। খাবারে বেশি পরিমাণে মসলা ও তেলের ব্যবহার গ্যাস্ট্রাইটিসের সৃষ্টি করে।
এ রোগের উপসর্গগুলো হলো- গলা ও বুক জ্বালাপোড়া করা, টক টক ঢেঁকুর ওঠা, বমি বমি ভাব ও বমি করা, খাওয়ার আগে বা পরে পেট ব্যথা করা, পেট ফেঁপে যাওয়া, টকজাতীয় খাবার অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে তোলে। এসব উপসর্গযুক্ত রোগীদের নিয়মিত সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া এবং অতিরিক্ত তেল বা চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করা উচিত। অন্যদিকে দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রাইটিস থাকলে তা কালক্রমে পাকস্থলী ও অন্ত্রে ক্ষতের সৃষ্টি করে। আর সেই ক্ষতই হলো পেপটিক আলসার বা ডিওডেনাল আলসার।
ভেষজ চিকিৎসা : গ্যাস্ট্রাইটিস ও গ্যাস্ট্রিক আলসার নিরাময়ে আমলকী, হরীতকী, বহেড়া, যষ্টিমধু, খয়ের, মঞ্জিষ্ঠা, হলুদ, আদা, গোলমরিচ, ইসবগুল, বাবলাগাম ইত্যাদি খুবই কার্যকরী। অন্যদিকে ভেষজভাবে এখন নানা ধরনের ওষুধও গ্যাসট্রিকের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব ওষুধ সেবন করেও অ্যাসিডিটি থেকে মুক্ত থাকা যায়।
Leave a Reply