করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে এমবিবিএস পরীক্ষা নিয়ে শঙ্কিত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। কারণ কোনো শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হলে তার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ না রাখায় এ শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চলতি মাসের শেষদিকে শুরু হবে দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের পরীক্ষা। আর এ পরীক্ষায় বসতে হলে কেন্দ্রে যেতে হবে করোনার নেগেটিভ সনদ নিয়ে। কারও রিপোর্ট পজেটিভ হলে তিনি পরীক্ষা দিতে পারবেন না এবং তার দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ও অভিভাবককেই নিতে হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রাজধানীর বেরসরকারি মেডিক্যাল কলেজে অধ্যয়নরত এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, এমবিবিএস তৃতীয় প্রফেশনাল পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী রবিবার থেকে। এতে অংশ নিতে ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাসিক আট হাজার টাকা হারে এবং পরীক্ষার ফি বাবদ আরও আট হাজার জমা দিতে হয়েছে। একসঙ্গে ১১ মাসের বেতন ও পরীক্ষার ফি বহু কষ্টে জোগাড় করে সন্তানের ফরম ফিলাপ করিয়েছেন। কিন্তু সেই পরীক্ষায় বসা নিয়েই তাদের রাজ্যের
চিন্তা। তিনি বলেন, ‘ফরম ফিলাপের সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ আমার ও আমার সন্তানের কাছ থেকে একটি অঙ্গীকারনামা নিয়েছে। যাতে লেখা আছে- ‘পরীক্ষা শুরুর তিন দিন আগে শিক্ষার্থীর করোনা টেস্ট করে নেগেটিভ সনদ নিয়ে যেতে হবে। করোনা পজেটিভ হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবে না এবং এর দায়দায়িত্ব নিতে হবে পরীক্ষার্থী ও তার অভিভাবককেই।’ এখন যদি করোনা টেস্টে নেগেটিভ রিপোর্ট না পাই তা হলে আমার সন্তান পরীক্ষা দিতে পারবে না। এ দুশ্চিন্তায় ঘুমই আসছে না।’
জানা গেছে, দেশে সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিতে ইতোমধ্যে ফরম পূরণ সম্পন্ন হয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা তাদের মাসিক বেতন নিয়মিত দিতে পারেননি। কিন্তু ফরম পূরণের সময় একসঙ্গে প্রায় এক বছরের বেতন ও পরীক্ষার ফি বাবদ লাখ টাকা জমা দিতে অনেক পরিবারকেই হিমশিম খেতে হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
Leave a Reply