স্কুলের শিক্ষিকাকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করছিলেন প্রধান শিক্ষক। উভয়ের মধ্যে সম্প্রতি সম্পর্কও হয়েছিল। তবে তা খুব ভালো যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় আজ শনিবার স্কুলের মধ্যেই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। পরে তাদের স্কুলে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা।
ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁ থানা এলাকার উত্তর কালুপুর আনন্দ সংঘ প্রাইমারি স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম অক্ষয় কুমার বিশ্বাস।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষিকাকে ব্যাপক মারধর করছিলেন। খবর পেয়ে স্কুলে ছুটি আসেন শিক্ষিকার স্বামী। তিনি অভিযোগ করেন, ‘প্রধান শিক্ষক আমার স্ত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করছেন। থানায় অভিযোগ দিয়েছিলাম। তারপরও প্রধান শিক্ষক আমার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়ে চাপ সৃষ্টি করতেন। এজন্য আমার স্ত্রী আত্মহত্যাও করতে গিয়েছিল। আজ আমার স্ত্রীকে স্কুলের মধ্যে উত্ত্যক্ত করে মারধর শুরু করেন প্রধান শিক্ষক।’ তবে এ অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ওই শিক্ষিকা প্রায় ১০ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। বছর তিনেক আগে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক স্কুলে যোগদান করেছেন। ওই শিক্ষক-শিক্ষিকা মাঝেমধ্যেই স্কুলে এভাবে মারামারি করেন৷ তাদের মধ্যে সম্পর্কও রয়েছে।
Leave a Reply