করোনাভাইরাস অতিমারীর মাঝেই নয়া আশঙ্কা ভারতে। ফের শুরু হলো ‘বার্ড ফ্লু’। রাজস্থানের পরিস্থিতি ক্রমেই চিন্তা বৃদ্ধি করছে। বার্ড ফ্লু নিয়ে অন্যান্য রাজ্যকেও সতর্ক করেছে কেন্দ্র। বার্ড ফ্লু এতই মারাত্মক হতে পারে, এর কারণে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
বার্ড ফ্লু একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় রোগ। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। এই ভাইরাসটি সাধারণত পাখিদের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে থাকে। পাখিরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজেই চলে যায় বলে এই রোগটিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই বার্ড ফ্লু বায়ুবাহিত হয়।
এই ভাইরাস সংক্রমণের পর রোগীর দেহে প্রাথমিকভাবে জ্বরের লক্ষণ প্রকাশ পায়। জ্বর, গা ব্যথা, গা ম্যাজম্যাজ করা, ঠাণ্ডা লাগা, হাঁচি, কাশি, মাথাব্যথা, মাংসপেশি ব্যথা, বমি, পেট খারাপ এই ধরনের উপসর্গ থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ খুব বেশি দেখা যায়। মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকতে পারে। এনসেফেলাইটিস, হৃদপিণ্ডের সংক্রমণ, মায়োসাইটিস হয়। বার্ড ফ্লু-র জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল ওষুধ রয়েছে।
কীভাবে এই রোগ ছড়ায়?
আক্রান্ত ব্যক্তির প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে অন্য ব্যক্তির মাঝে বার্ড ফ্লু ছড়াতে পারে। আক্রান্ত পাখির ডিম বা গোশত সঠিকভাবে সিদ্ধ করে না খেলে বার্ড ফ্লু হতে পারে। এটি ভাইরাসজনিত একটি ছোঁয়াচে রোগ। বার্ড ফ্লু নির্ণয়ের ক্ষেত্রে, রক্তে এই ভাইরাসের অ্যান্টিবডি পিসিআর পদ্ধতিতে দেখে ভাইরাসটি শনাক্ত করা যায়।
হাঁস বা মুরগি বা অন্যান্য পাখি ধরা বা নাড়াচাড়া করা উচিত নয়। অসুস্থ হাঁস, মুরগি বা অন্যান্য পাখিদের শিশুদের থেকে দূরে রাখতে হবে। ১৯৯৭ সালে প্রথম এই H5N1 ভাইরাসের খবর প্রকাশ্যে আসে।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
Leave a Reply