২০১৯-২০ এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল কবে প্রকাশিত হবে এ বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার গণমাধ্যমে কথা বলবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফলাফলের বিষয় ছাড়াও তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সচল করা, বই উৎসবসহ শিক্ষা সংক্রান্ত সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলবেন। সেদিন দুপুর ১২টায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল শনিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, চলতি মাসের মধ্যে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সচল করা, বই উৎসবসহ শিক্ষা সংক্রান্ত সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
প্রসঙ্গত, চলতি ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯-২০ এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল। এর আগে চলমান মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বাতিল করা হয় এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অটো পাসের।
গত ৭ অক্টোবর এক অনলাইন ব্রিফিয়ে ডা. দীপু মনি এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দিয়ে জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে এ পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করা হবে বলে জানান। তখন তিনি ডিসেম্বরের শেষের দিকে ফল ঘোষণার কথা বলেন।
তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল তৈরির নীতিমালা অনুমোদন দেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই এই বছর আর হচ্ছে না ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ফল প্রকাশ হতে পারে বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নীতিমালা অনুমোদন হলে ফলাফল তৈরিতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
এদিকে জানা গেছে, এ বছর মোট সাড়ে ৩৪ কোটি নতুন বই ছাপা হয়েছে। এই বই এখন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও এবারও ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি নতুন বছরের বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। সেটিকে পাঠ্যপুস্তক উৎসব-২০২১ হিসেবে পালন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক বলেন, ‘বই কীভাবে পৌঁছানো হবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়নি।’
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ক্লাসভিত্তিক পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বই বিতরণ নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক জিয়াউল হক বলেন, ‘উপজেলা-থানা শিক্ষা অফিস পর্যন্ত বই পৌঁছানোর দায়িত্ব এনসিটিবির। বাকি দায়িত্ব মাউশি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের। মাধ্যমিকের ১৩ কোটি ও প্রাথমিকের আট কোটিসহ ২১ কোটি বই উপজেলা শিক্ষা অফিসে পৌঁছানো হয়েছে।’ বাকি বই পাঠানোর চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply