1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ অপরাহ্ন

কোন পথে পৃথিবী?

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০

‘আমার শহরে শুকিয়ে যাচ্ছে জল, আসতে আসতে ফুরিয়ে যাচ্ছে জল। অন্য কোথাও চল’। হ্যাঁ, এই খবর শুধু আমার আপনার শহরের নয়। এই অবস্থা সারা নীল গ্রহের, যে মাটির তলার জল অনেক স্থানেই কমে যাচ্ছে। উলটো স্থানে বেড়ে যাচ্ছে, যার ফল ভয়ঙ্কর। কিন্তু শুধু এখানেই নয় প্রতিবেশী গ্রহ শুক্রেও একই কাণ্ড ঘটছে। যে গ্রহে জল ও প্রাণের সন্ধানের উৎস খুঁজছিলেন বিজ্ঞানীরা সেখানেই এখন দেখা যাচ্ছে যে, পৃথিবীর মতোই বড় জলবায়ুর পরিবর্তন হয়েছে সেখানে, তাই জল শুকাচ্ছে সেখানে। সম্প্রতি নেচার জার্নালে-প্রকাশিত হয়েছে রিচার্ড আর্নস্টের এক গবেষণাপত্রে এমন বলা হচ্ছে।

গবেষণার সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে সুনিশ্চিত করার জন্য শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠতলের পাথর নিয়েও পরীক্ষা শুরু করেছেন।

১৯৮৯ সালের নাসা’র মহাকাশ অভিযান থেকেও নানা তথ্য নিয়ে গবেষণা চলছে। ওই সালের সালের ১০আগস্ট শুক্রে ম্যাগেলান মহাকাশযান পাঠিয়েছিল নাসা। শুক্রে ঘটা নানা অগ্ন্যুৎপাত ও সেই সংক্রান্ত পরিবর্তনগুলিও খতিয়ে দেখা হয়। আর এই সমস্ত কিছুই যেন নয়া ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইঙ্গিত দিচ্ছে বহু বছর আগে ঘটে যাওয়া একটি পরিবর্তনের দিকে। শুক্রে যে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে কিংবা পৃথিবীর মতো একটি জলবায়ু আছে, তা নিয়েও আগেও বিস্তর গবেষণা হয়েছে। ২০১৬ সালে নাসা’র একটি প্রতিবেদনেও বিষয়টি নিয়ে বিশদে আলোচনা করা হয়। সেই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, শুক্র গ্রহের মধ্যে জলের অস্তিত্ব থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে বাসযোগ্য জলবায়ুরও সামান্যতম হলেও সন্ধান মিলেছে। কম্পিউটার মডেলিংয়ের মাধ্যমে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।

এই বছরের শুরুতেই একটি গবেষণা সূত্রে জানা গিয়েছিল, শুক্রের ঘন মেঘে ফসফাইনের অস্তিত্ব রয়েছে। এই ফসফাইন গ্যাসের মাধ্যমেই জীবের ইঙ্গিত পাচ্ছিলেন মহাকাশ গবেষকরা। অনেকের ধারণা ছিল এটি কোনও এলিয়েন বা অণুজীবের কাজও হতে পারে। তারা এই ফসফাইন গ্যাস উৎপাদন করতে সক্ষম। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একাংশের অনুমান ছিল, কোনো অগ্ন্যুৎপাতের জেরেও শুক্রের পৃষ্ঠতলে বা মেঘে ফসফাইন বা সালফার ডাই অক্সাইডের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যেতে পারে। তবে এই অগ্ন্যুৎপাতের জেরে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে হয়তো জলবায়ুর বড়সড় পরিবর্তন হয়েছে। সে ক্ষেত্রে কোনো জীবের অস্তিত্ব থাকলে, তার বিলুপ্তি পর্যন্তও ঘটতে পারে বলে দাবি তাঁদের। প্রসঙ্গত বর্তমানে নীল গ্রহের বড় চ্যালেঞ্জ হল জলবায়ুর পরিবর্তন। ক্রমবর্ধমান বিশ্ব উষ্ণায়ণের সঙ্গে লড়ছে পৃথিবী। কিন্তু আজ পৃথিবী যে পরিস্থিতির শিকার, বহু বছর আগে আমাদের প্রতিবেশী গ্রহ শুক্র হয় তো একই পরিস্থিতির শিকার হয়েছিল। বহু বছর আগে পৃথিবীর মতো একটি বাসযোগ্য জলবায়ু ছিল শুক্রের। কিন্তু কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো ক্ষতিকর গ্রিন হাউজ গ্যাসের প্রভাবে সব কিছু ধ্বংস হয়ে যায়। এর জলাশয়গুলি হয় শুকিয়ে যায়, নয় তো বাষ্পীভূত হয়ে যায়। ধীরে ধীরে সমস্ত কিছু নিঃশেষ হয়ে যায় ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com