বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে করোনার সামাজিক সংক্রমণ চলছে। আমাদের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর একসময় চূড়ায় পৌঁছেছিল। এর পর করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করে, একটা পর্যায়ে এসে সংক্রমণ থেমে যায়। সেখান থেকে সংক্রমণ আবার বাড়ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংক্রমণ কখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কারণ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলতে গেলে সংক্রমণ হার ১০-এর নিচে নামতে হবে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলেও জনগণকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। গতকাল সোমবার বিকালে আমাদের সময় এর সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল বলেন, সংক্রমণ কখনই বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রিত হয়নি। সংক্রমণ কমে এসেছিল এখন আবার বাড়ছে। যেহেতু সামনে শীত, এই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। কারণ শীতকালে ঠা-াজনিত রোগ ব্রঙ্কাইটিস, ফেরিনজাইটিস, নিউমোনিয়া ছাড়াও সাধারণ জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা
জাতীয় সংক্রমণ বাড়বে। যেহেতু এগুলো শ্বাসজনিত রোগ আর করোনায় মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো শ্বাসজনিত সমস্যা। সুতরাং শিশু ও বয়স্ক যারা ঠা-াজনিত অসুস্থতায় ভুগবে, যাদের ফুসফুসে সংক্রমণ আছে তাদের মধ্যে মৃত্যু হার বেশি হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে- করোনা থেকে বাঁচার উপায় দুটি। একটি হচ্ছে- টিকা, অন্যটি স্বাস্থ্যবিধি মানা। যতদিন পর্যন্ত টিকা না আসছে, ততদিন পর্যন্ত জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং রাষ্ট্রকেও জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বাধ্য করতে হবে।
ডা. মোজাহেরুল বলেন, আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো করোনার প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। সেখানে অক্সিজেন সরবরাহ, নেজাল ক্যানোলা ও অক্সিজেন মাস্ক মজুদ রাখতে হবে। এর পাশাপাশি জেলা হাসপাতালে আইসিইউ বেড ও ভেন্টিলেটর মজুদ রাখতে হবে।
Leave a Reply