জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএইচইউ) প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য বলছে, বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ ছাড়িয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে চার কোটি ২৯ লাখের ঘরে।
সোমবার সকাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার কোটি ২৯ লাখ ২৩ হাজার ৩১১ জনে।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ১১ লাখ ৫২ হাজার ৯৯০ জন। পাশাপাশি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন দুই কোটি ৮৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৩ ব্যক্তি।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। মোট করোনা আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি এই তিন দেশে।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে প্রথমে রয়েছে আমেরিকা। এখনো ব্যাপক হারে সেখানে করোনার বিস্তার হচ্ছে। দ্রুত আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুও থেমে নেই।
দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ৮৬ লাখ ৩৩ হাজার ১৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ২ লাখ ২৫ হাজার ২২৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পরে মৃতের সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি রয়েছে ব্রাজিল, ভারত, মেক্সিকো এবং যুক্তরাজ্য।
এদিকে বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতে মোট আক্রান্ত ৭৮ লাখ ৬৪ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন এক লাখ ১৮ হাজার ৫৩৪ জন। মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল।
দেশটির সরকার ঘোষিত তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ৫৩ লাখ ৮০ হাজার ৬৩৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৫৬ হাজার ৯০৩ জনের।
স্পেনে জরুরি অবস্থা জারি
স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ রোববার দ্বিতীয়বারের মতো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। সেখানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে।
সানচেজ বলেছেন, তার সরকার আগামী ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছে।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে আরো ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৮০৩ জনে। এছাড়া নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৩০৮ জনের শরীরে। যার ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ৯৮ হাজার ৮১৫ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে রোববার পাঠানো করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১১.৭৮ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৭.৬৭ শতাংশ। নতুন যে ২৩ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৯ এবং নারী চারজন। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১.৪৬ শতাংশ।
এদিকে, আরো এক হাজার ৫৪৪ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা তিন লাখ ১৫ হাজার ১০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার এখন পর্যন্ত ৭৯.০১ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
Leave a Reply