ক্ষমতাসীনরা বহিরাগতদের ঢাকায় জড়ো করে ত্রাস সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আসন্ন সিটি নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা সংবিধান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করুন। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করুন। অন্যদিকে ঢাকাবাসীকে ১ ফেব্রুয়ারি ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংবিধান রক্ষার জন্য ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করুন। সকল অন্যায় অবিচার ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণার শুরু থেকেই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা হাজারো আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেয়নি। বরং পুলিশ কর্তৃক বিএনপি নেতাকর্মীদের বেআইনীভাবে গ্রেফতার এবং সর্বশেষ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের উস্কানিমূলক বক্তব্য নির্বাচনী পরিবেশকে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে নিয়ে গেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এতে প্রমাণিত হয় তারা সিটি নির্বাচনকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে করতে চায়। যা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তারা সরকারের আদেশে কাজ করছে। অন্যদিকে পুলিশও একতরফাভাবে কাজ করছে। তারা প্রতিনিয়ত বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা ও তল্লাশি করছে এবং নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। সুতরাং বলব- আওয়ামী লীগ যদি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়, নির্বাচন এককভাবে করতে চায়, তাহলে নির্বাচন নির্বাচন খেলার দরকার কী?
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ গণবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। তারা ধানের শীষের গণজোয়ার দেখে ভীত হয়ে সিটি নির্বাচনে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। কিন্তু ঢাকাবাসীকে বলবো- আসুন বাসযোগ্য ঢাকা গড়তে অন্যায়ের বিরুদ্ধে জবাব দিতে ১ ফেব্রুয়ারি ঘর থেকে বেরিয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করুন। অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রা শুরু করি।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, মীর সরফত আলী সপু, মো: মুনির হোসেন প্রমুখ।
Leave a Reply