আগামীকাল রোববার সুইস নাগরিকরা ইমিগ্রেশন বিষয়ক রেফারেন্ডামে ভোট দিবে। এই রেফারেন্ডামের উদ্দেশ্য ইউরোপীয় নাগরিকরা যাতে সুইজারল্যান্ডে ফ্রি মুভমেন্ট করতে না পারে। সহজেই যাতে তারা সেখানে বসবাস এবং চাকরি করতে না পারে।
সুইজারল্যান্ড দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে তাদের নির্দিষ্ট কিছু চুক্তি রয়েছে যাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নাগরিকেরা সুইজারল্যান্ডে ফ্রি মুভমেন্ট, বসবাস এবং সেখানে চাকরি করতে পারে। এমনকি চুক্তির অধীনে সুইজারল্যান্ডকে ইইউর একক বাজারে পণ্য ও পরিসেবার অবাধ চলাচলে অংশ নিতে সহায়তা করে।
সুইজারল্যান্ডের ডানপন্থী পিপলস পার্টির (এসভিপি) উদ্যোগে এই গণভোট চলতি বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সেটি পিছিয়ে তা আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই গণভোটের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ইইউ নাগরিকরা যাতে সহজেই সুইসে ফ্রি মুভমেন্ট করতে না পারে তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া।
তবে এই উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে ইইউতে বসবাসরত প্রায় ৪ লাখ ৬০ হাজার সুইস নাগরিকের জীবনে অনেক প্রভাব ফেলবে।
সরাসরি গণতন্ত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে এমন একটি সিস্টেমের অংশ হিসেবে সুইজারল্যান্ডে নীতিগত পরিবর্তনগুলো (মেজর পলিসি) প্রায়শই গণভোট দ্বারা করা হয়।
যদি আগামীকালের ‘সীমাবদ্ধতার উদ্যেগ’ গণভোটটি সুইস নাগরিকরা জয়ী করে দেয় তাহলে সুইস ফেডারেল কাউন্সিল ইইউ’র সাথে বসে ১২ মাসের মধ্যেই স্বাক্ষরিত ফ্রি মুভমেন্ট চুক্তি বাতিল করতে হবে। যদি কোনো কারণে ইইউ’র সাথে সুইস ফেডারেলের আলোচনা ভেস্তে যায় তাহলে ইইউ’র সাথে স্বাক্ষরিত অন্য চুক্তিও অটোমেটিকলি সমাপ্ত হবে।
ডানপন্থী দল এসভিপির যুক্তি হলো, সুইজারল্যান্ডে এই মুহূর্তে মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৫ ভাগ (প্রায় ২ দশমিক ১ মিলিয়ন) লোক হচ্ছে অভিবাসী। এর মধ্যে ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন লোক হচ্ছে ইইউ’র নাগরিক। এত সংখ্যক লোককে সহযোগিতা করা সুইজারল্যান্ডের পক্ষে সম্ভব না। তাই ইইউ’র উচিত সুইজারল্যান্ডের সাথে বসে এর স্থায়ী সমাধান খোঁজা।
পক্ষান্তরে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইইউ’র কোনো প্রয়োজন নেই সুইজারল্যান্ডের সাথে বসে দর কষাকষি করার। কেননা অতীতে অনেকবারই স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে সুইজারল্যান্ডকে ইইউ বের করতে চেয়েছিল এমনকি পণ্য সরবরাহের একক মার্কেট থেকেও।
ইইউ হচ্ছে সুইজারল্যান্ডের প্রধান বাণিজ্যিক অংশিদার।
Leave a Reply