ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬ হাজার ৫০৪ নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট ৫৭ লাখ ৩২ হাজার ৫১৮ জন আক্রান্ত হলেন।
এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশ এক হাজার ১২৯ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে মোট মৃতের সংখ্যা ৯১ হাজার ১৪৯ জনে পৌঁছেছে, খবর সিনহুয়া।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ৪৬ লাখ ৭৪ হাজার ৯৮৭ জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এ মুহূর্তে দেশে রোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ৬৬ হাজার ৩৮২ জন।
সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৬৭ কোটি ৪৩ লাখ ছয় হাজার ৩১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র বুধবার ১১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয় বলে বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের জুনিয়ার রেলপথমন্ত্রী সুরেশ আঙ্গাদি কোভিড-১৯-এর কারণে মারা গেছেন। করোনভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষা করার প্রায় দুই সপ্তাহ পরে ৬৫ বছর বয়সী অঙ্গাদি মারা গেলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দিল্লির অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটে (এআইএমএস) ভর্তি করা হয়েছিল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্যকর পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ভ্রমণ, চিকিৎসা ও নজরদারির প্রতি মনোনিবেশ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
মোদি জানান, সাতটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে তার ভার্চুয়াল বৈঠককালে সবচেয়ে বেশি কোভিড-১৯ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ জাতীয় পরিস্থিতিতে গুজব উঠতে পারে। এটি মানুষের মনে সন্দেহ জাগাতে পারে যে পরীক্ষা করা খারাপ। কিছু লোক সংক্রমণকে ছোট করে দেখে ভুলও করছে।’
মোদি প্রতিদিন মাস্ক ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন। সেই সাথে তিনি কোভিড-১৯-এর জন্য রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল ব্যবহারের সীমা ৩৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারিতে ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ।
সূত্র : সিনহুয়া
Leave a Reply