1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত: ফরহাদ মজহার চলতি মাসে হতে পারে ঘূর্ণিঝড়, রয়েছে বন্যার শঙ্কাও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ নিয়ে যা জানালেন ড. ইউনূস খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা, ১৪৪ ধারা জারি জুলাই-আগস্টে ঋণ গ্রহণের চেয়ে বেশি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ অশ্লীলতা না থাকলে ,আইটেম গানে নাচবেন অনন্যা ২০ হাজার বাংলাদেশীর পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছে ভারত সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত : র‌্যাবকে সরিয়ে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ চট্টগ্রাম বন্দরের তেলবাহী ট্যাংকারে আগুন, নিখোঁজ ৩ প্রধান উপদেষ্টার বাড়ির সামনে ৩৫ প্রত্যাশীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ

৫ লাখ ভারতীয় কাজ করলে বিজন কেন পারবে না, প্রশ্ন জাফরুল্লাহর

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০২০

বাংলাদেশে পাঁচ লাখ ভারতীয় কাজ করতে পারলে ড. বিজন কুমার শীল কেন পারবেন না-এ প্রশ্ন করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

রোববার রাতে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দেশে জয়েন্টভেনচার আছে। চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রের লোক আসছে কাজ করতে। ভারতের পাঁচ লাখ লোক বাংলাদেশে কাজ করে। তাহলে সে (বিজন কুমার শীল) কেন পারবে না?’

গত কয়েকদিনে গণমাধ্যমে তার সিঙ্গাপুর চলে যাওয়ার বিষয়ে যে খবর বেরিয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার বলে দাবি করেন ডা. জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘কেন চলে যাবে? বাংলাদেশ সরকার যদি তাড়িয়ে দেয় সেটা ভিন্ন কথা।’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘তার (ড. বিজন কুমার শীল) মতো লোক যদি চলে যায়, বাংলাদেশের অপূরণীয় ক্ষতি হবে, গবেষণা স্তিমিত হয়ে যাবে। আমাদের সবার সহযোগিতা করা উচিত, সে যেন দেশে কাজ করতে পারে।’

বাংলাদেশে কাজ করতে তার কোনো আইনি বাধা আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সে জন্মসূত্রে বাংলাদেশি। সিঙ্গাপুর দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করে না বিধায় সে দেশে কাজ করার সময় তার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছাড়তে হয়েছিল। সিঙ্গাপুরের নাগরিক সারা পৃথিবীতে কাজ করতে পারে। তবে কাজ করতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের অনুমতি লাগে। আগস্টের ১০ তারিখ আমরা তার অনুমতির জন্য আবেদন করেছি।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গেছে-এমন খবরও অস্বীকার করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের এখানে তার দুটি পদ আছে। সে আমাদের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং আমাদের ফার্মাসিউটিকালের প্রধান। তার মতো লোককে পাওয়া যেকোনো দেশের জন্য সম্মানজনক।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি আরও বলেন, ‘একটা শ্রেণি তাকে তাড়িয়ে দিতে চায়। এ দেশে ভালো কাজ তো করতে দেয় না। পাঁচ মাস আগে আমরা এন্টিবডি উদ্ভাবন করলাম, অথচ পারমিশন পাই না।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে দেশে করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি টেস্টের উদ্ভাবক দলের প্রধান অণুজীববিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। ২০০২ সালে সিঙ্গাপুরের সিভিল সার্ভিসে যোগদানের সময় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সমর্পণ করে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন তিনি। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। ১ জুলাই সে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ‘সিঙ্গাপুর সিভিল সার্ভিসে যোগদানের নিয়ম অনুযায়ী আমাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে সেই দেশের নাগরিকত্ব নিতে হয়েছে। আমার বাড়ি ও জন্মস্থান বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, ‘আমার ভিসার মেয়াদ আরও এক বছর আছে।’

১৯৬১ সালে নাটোরের এক কৃষক পরিবারে জন্ম নেন ড. বিজন কুমার শীল। তিনি বনপাড়া সেন্ট জোসেফ স্কুল থেকে এসএসসি ও পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরবর্তীতে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভেটেরিনারি সায়েন্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতক পাস করেন তিনি। অণুজীব বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও নিয়েছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। পরে কমলওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে ‘শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি’ বিষয়ে পিএইচডি করেছেন যুক্তরাজ্যের দ্য ইউনিভার্সিটি অব সারে থেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com