সিলেট অঞ্চলে ও উজানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। তবে এখনো পানিবন্দী অবস্থায় আছেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। শুক্রবার (২১ জুন) এ তথ্য জানায় জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবারের
উজানের ঢল আর দুই দিনের টানা বৃষ্টি সিলেটে চলমান দ্বিতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। মহানগর ও জেলাজুড়ে প্রায় চার লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে বন্যাকবলিত হয়ে আছে
সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যায় মানুষের ঘর-বাড়ি, গবাদিপশু ও সহায় সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি অব্যাহত রয়েছে। থেমে-থেমে ভারী বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে প্রবল পাহাড়ি ঢলের জলস্রোত। ভাটির এই জনপদের একদিকে পানি
টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সিলেটের ছয়টি পয়েন্টের নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঈদের দিন দু’টি নদীর পানি দু’টি পয়েন্টে বিপৎসীমার
সোমবার রাতে ভারী বর্ষণ না হলেও পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।সুরমা নদীর পানি উপচে বাসা-বাড়িতে ও দোকানে
জেলায় পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের মেঘালয়-চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী সদর উপজেলার বনগাঁও নখরিয়া ছড়া সীমান্ত নদী, ধোপাজান চলতি নদী, তাহিরপুর
সিলেটের সীমান্ত দিয়ে আসা ১৪টি ট্রাকবোঝাই ভারতীয় চিনির চালান জব্দ করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে জেলার জালালাবাদ থানাধীন উমাইয়াগাও থেকে এ চালানটি জব্দ করা হয়েছে। এসময় একটি মোটরসাইকেল ও
সিলেটের সীমান্তবর্তী কয়েকটি উপজেলায় পানি কমলেও শুক্রবার নগরীতে প্রবেশ করেছে সুরমার পানি। ইতোমধ্যে নগরীর চার হাজার পরিবার বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। নগরীর বন্যা কবলিতদের জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে ওই চার উপজেলার বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চল। অনেক সড়ক ডুবে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানা প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল আরো দুর্বল হয়েছে। এটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বর্তমানে সিলেট ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে