পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিশন দুইজন পলাতক আওয়ামী লীগ নেতার জবানবন্দি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সভাপতি বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান।
তিনি জানান, ই-মেইলে পলাতক ওই দুই আওয়ামী লীগ নেতা তাদের জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক মন্ত্রী মির্জা আজম।
আজ বুধবার রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিআরআইসিএম নতুন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড তদন্তের জন্য গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘৮ জন সংশ্লিষ্ট রাজনীতিকের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জনের সাক্ষাৎকার জেলে নেওয়া হয়েছে। ৩ জন উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২ জন পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা ই-মেইলে জবানবন্দি দিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের সভাপতি আরও বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে কারও নাম বলতে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন তদন্ত কমিটি চরম অবহেলা করেছে। গণমাধ্যমও বিষয়টি ভিন্নখাতে নেওয়ার কাজ করেছে। সময়মতো সামরিক ব্যবস্থা নেওয়া হলে হত্যাকাণ্ড কমানো যেত।’
আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, ‘সর্বমোট ১৫৮ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে এবং আরও প্রায় ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ বাকি আছে।’
Leave a Reply