ইরানের তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। আজ রবিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ সময় সকাল পৌন ৬টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরান। দেশটি জানিয়েছে, ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলায় কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে লিখেছেন, ‘আমরা ইরানে পারমাণবিক কেন্দ্রতে সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। যারমধ্যে আছে ফর্দো, নাতানজ এবং ইসফাহান। (হামলায় অংশ নেওয়া) সব বিমান এখন ইরানি আকাশসীমার বাইরে রয়েছে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, মাটির ২৬২ ফুট গভীরে থাকা ফর্দো পরমাণু কেন্দ্রে ভারী বোমা ফেলেছেন তারা। হামলা চালানো বিমানগুলো এখন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসছে।
ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানের নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান ও ফোরদো-এই তিনটি মূল পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। ফোরদোর ওপর ছয়টি ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা ফেলা হয়েছে। এছাড়া অন্য দুটি স্থাপনায় ৩০টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।’
এদিকে ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থা কোমের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলছে, ফোরদোর কিছু অংশ বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কোম প্রভিন্সিয়াল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট হোডকোয়ার্টারের মুখপাত্র মোর্তেজা হায়দারি বলেন, ‘কয়েক ঘণ্টা আগে, কোমের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার এবং শত্রু লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করার পর, ফোরদোর কিছু অংশ শত্রু বিমান হামলায় আক্রান্ত হয়েছিল।’
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থার এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে যেই তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার কথা বলছে, আদতে সেখানে এমন কোনো পদার্থ নেই যা তেজস্ক্রিয়তা সৃষ্টি করে।
ওই কর্মকর্তার মন্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ইরানি কর্তৃপক্ষ বোমা হামলার আগেই হয়তো ওই স্থাপনাগুলো থেকে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বা তেজস্ক্রিয় উপাদান সরিয়ে ফেলেছিল।
Leave a Reply