জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব প্রশাসন বিভাগ’ নামে দুটি পৃথক ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে।
রিটে দাবি করা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত সংবিধানবিরোধী এবং সরকারের আইনি ক্ষমতার বাইরে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, রিটকারীর পক্ষ থেকে আদালতের কাছে অধ্যাদেশটির কার্যকারিতা স্থগিত রাখারও আবেদন জানানো হয়েছে, অন্তত চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত।
আজ রবিবার রিট আবেদনটি দাখিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুয়েল আজাদ। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে তিনি নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রিট আবেদনে আইন সচিব ও অর্থ সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, রিট আবেদনের শুনানি হতে পারে হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চে।
আইনজীবী জুয়েল আজাদ বলেন, “এনবিআর ছিল একটি সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে এর দক্ষতা বাড়ানো যেত। অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা মতামত গ্রহণ করা হয়নি। এনবিআরকে বিলুপ্ত করে নতুন দুটি বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্তটি গণতান্ত্রিক ও সংবিধানসম্মত নয়।”
প্রসঙ্গত, সরকার সম্প্রতি একটি অধ্যাদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ এবং ‘রাজস্ব প্রশাসন বিভাগ’ নামে দুটি আলাদা বিভাগ গঠনের ঘোষণা দেয়। সিদ্ধান্তটি প্রকাশের পর প্রশাসনিক, অর্থনৈতিক ও রাজস্ব সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
রিট আবেদনে প্রশ্ন তোলা হয়েছে—সংসদীয় প্রক্রিয়া ছাড়াই একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র অধ্যাদেশের মাধ্যমে কীভাবে কার্যকর হলো, এবং সেটি সংবিধান অনুযায়ী কতটা বৈধ? আদালত যদি এ বিষয়ে রুল জারি করেন, তাহলে বিষয়টি বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার আওতায় আসবে এবং নতুন বিভাগগুলোর ভবিষ্যৎ আইনি ভিত্তি নির্ধারণে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
Leave a Reply