অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো নিজ জেলা চট্টগ্রামে যাচ্ছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রায় দেড় যুগ পর নিজের গ্রামের বাড়ি বাথুয়া যাবেন তিনি। তাকে স্বাগত জানাতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
আগামীকাল বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিকেলে তার পৈতৃক বাড়ি হাটহাজারীর শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামে যাবেন বলে জানা যায়।
বিকেল ৫টায় হাজি মোহাম্মদ নজু মিঞা সওদাগর বাড়ির অদূরে নুরালী বাড়ি উপ-ডাকঘর সংলগ্ন কবরস্থানে শায়িত তার দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করবেন এবং পাশের মাঠে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন।
এরই মধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের বাস্তবায়নে সদ্যনির্মিত হাজি মোহাম্মদ দুলা মিয়া সওদাগর সড়ক সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি নুরালী বাড়ি উপ-ডাকঘর সংলগ্ন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পারিবারিক করবস্থানে চলছে চুনকামের কাজ। এ ছাড়া পাশের মাঠও পরিষ্কার করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বাবার পৈত্রিক নিবাস হাজি মোহাম্মদ দুলা মিয়া সওদাগর বাড়িতে হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানা স্থাপনায় সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করছেন। বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক মো. জামসেদের জরাজীর্ণ ঘর ভেঙে তৈরি করা হচ্ছে নতুন ঘর। এ ছাড়া বাড়ির ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে বসানো হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ড. ইউনূসের পরিবারের সবাই ৫০ থেকে ৬০ বছর ধরে নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন নিরিবিলি নামক একটি ভবনে বসবাস করছেন। ১৯৪০ সালের ২৮ জুন তিনি বাথুয়া গ্রামের হাজী এম নজু মিয়া সওদাগর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। আট ভাই-দুই বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, মুহাম্মদ ইউনূস আগামীকাল চট্টগ্রাম সফরে গিয়ে সেখানে নির্ধারিত বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদান করবেন তিনি। পাশাপাশি তার পৈতৃক বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামও পরিদর্শন করবেন।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামে পৌঁছার পর বন্দর পরিদর্শন করবেন এবং বন্দরের অভ্যন্তরে এনসিটি-৫ প্রাঙ্গণে একটি সভায় অংশ নেবেন। এরপর তিনি বন্দর ও জাহাজ চলাচল খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও বাণিজ্য সংস্থার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। সেখান থেকে যাবেন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে। সেখানে কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করবেন।
যা চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একটি অংশসহ কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরের বিশাল জনগোষ্ঠীর বহুল প্রতীক্ষিত সেতু।
Leave a Reply