1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০১:৫৩ অপরাহ্ন

যুদ্ধে ভারতের ৮৩ বিলিয়ন, পাকিস্তানের ৪ বিলিয়ন ক্ষতি

‍ইউএস বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১২ মে, ২০২৫

গত ২২ এপ্রিল বিরোধপূর্ণ কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহতের পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শুরু হয় তীব্র উত্তেজনা।

এর রেশ ধরে ৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিটে ভারতের বিমান বাহিনী পাকিস্তানের নয়টি অবস্থান লক্ষ্য করে ২৩ মিনিটব্যাপী হামলা চালায়। এই হামলার কোড নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’।

হামলায় ভারতীয় বিমান বাহিনী ব্যবহার করে ড্যাসল্ট রাফাল যুদ্ধবিমান। আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম এই যুদ্ধবিমানগুলো প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার আওতার মধ্যে লক্ষ্যস্থলে আঘাত করতে পারে।

পাশাপাশি নির্ভুল লক্ষ্যভেদে সক্ষম গ্লাইড বোমাও ছুড়তে পারে এই যুদ্ধবিমানগুলো।

শুধু ২৩ মিনিটের হামলাতেই ভারতের তৎপরতা সীমাবদ্ধ ছিল না, ৭ মে থেকে ১০ মে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরখ করতে তারা বেশকিছু মনুষ্যবিহীন আকাশযান ব্যবহার করে।

এগুলো মধ্যে ছিল ইন্দো-ইসরায়েলি স্কাইস্ট্রাইকার আকাশচারী যান এবং ইসরায়েলের তৈরি হারোপ ড্রোন। এগুলো শুধু লক্ষ্যস্থলে আঘাতই করতে পারে না, পাশাপাশি মাটিতে থাকা রাডার ও ভূমি থেকে আকাশের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের অবস্থানকে শনাক্ত করতে পারে।

এসব যুদ্ধাস্ত্র ভারত ব্যবহার করেছিল পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর খুঁজে বের করার জন্য।

অন্যদিকে, ৭ মে থেকে ১০ মে পাকিস্তান ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পাল্টা জবাব দিয়েছিল বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটকে কাজে লাগিয়ে। পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের বিমান বাহিনী তাদের বহুমাত্রিক যুদ্ধবিমান চেংডু জে-১০ সি ব্যবহার করে।

এসব যুদ্ধবিমান দৃষ্টিসীমার বাইরে আকাশ থেকে আকাশের লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে আঘাতে সক্ষম। এছাড়া এতে রয়েছে পাল্টা আঘাত করার ইলেকট্রনিক যুদ্ধাস্ত্র বহনের সক্ষমতা।

৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত আধুনিক আকাশপথের যুদ্ধে এক অনন্য নজীর সৃষ্টি করে পাকিস্তান।

এ সময় ভারতের হামলায় ব্যবহার করা ফ্রান্সের তৈরি নতুন প্রজন্মের বহুমাত্রিক ড্যাসল্ট রাফাল বহরের তিনটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে দেয় পাকিস্তান, যা ছিল যুদ্ধক্ষেত্রে এসব যুদ্ধবিমান হারানোর প্রথম ঘটনা। এছাড়া পাকিস্তান দাবি করে তারা ভারতের ১২টি ড্রোন ভূপাতিত করে।

এসব ড্রোন বিমান বিধ্বংসী কামান ও ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এড়াতে সক্ষম ছিল।

৭ মে থেকে ১০ মের মধ্যবর্তী সময়ে এই ৮৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিটে ভারতের এনআইএফটিওয়াই-৫০ এবং বিএসই সেনসেক্স পুঁজি বাজার ব্যবস্থা থেকে ৮২ বিলিয়ন ডলার খোয়া যায়।

ভারতের উত্তরাঞ্চলের আকাশপথ বন্ধ থাকায় বিমান চলাচল খাত প্রতিদিন আট মিলিয়ন ডলার করে ক্ষতির সামনে পড়ে। আইপিএল ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে টেলিভিশন স্বত্ব, টিকিট বিক্রি ও বিজ্ঞাপন থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলার লোকসান হয়।

এছাড়া সামরিক খরচ বাবদ চলে যায় প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার। যুদ্ধবিমান হারানোর জন্য ক্ষতি হয় ৪০০ মিলিয়ন ডলার।

তাছাড়া বাণিজ্যে ব্যাঘাত, দেরিতে কার্গো ও লজিস্টিক পৌঁছানোর কারণে ক্ষতি হয় দুই বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে এই সংঘাতে প্রায় ৮৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে ভারতের।

অন্যদিকে, ৭ মে থেকে ১০ মে প্রায় ৮৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিট সময়ে পাকিস্তানের কেএসই-১০০ সূচক ৪ দশমিক ১ শতাংশ পতন হয়। এর ফলে প্রায় আড়াই বিলয়ন ডলার পুঁজি হারায় শেয়ারমার্কেট।

পাকিস্তানের পিএসএল ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ১০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয় দেশটির। এছাড়া আকাশপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বিমান পরিবহণ খাতে ক্ষতি হয় প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার। পাকিস্তানের প্রতিদিনের সামরিক খরচ হয় প্রায় ২৫ মিলিয়ন ডলারের।

ড্রোন অপারেশন, রাডার নিয়ন্ত্রিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ প্রভৃতি খাতে খরচ হয় ৩০০ মিলিয়ন ডলার। সংঘাতে সব মিলিয়ে পাকিস্তানের ক্ষতি হয় প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার।

৮৭ ঘণ্টার এই যুদ্ধ কেবল আকাশপথেই সীমাবদ্ধ ছিল না, এর ফলে বিপর্যয় হয় পুঁজিবাজারে, ধাক্কা লাগে দেশ দুটির অর্থনীতিতে। কাল্পনিক মহাশক্তি হয়ে ওঠার এই লড়াইয়ে প্রতি ঘণ্টায় ক্ষতি হয় ১ বিলিয়ন ডলার।

এই দুই পরাশক্তিকে যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হারানোর মাধ্যমেই ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি বরং পুঁজিবাজারে ধস, মুদ্রার অবমূল্যায়ন, সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন, বাণিজ্যিক বিমান চালনার ক্ষেত্রে লোকসান ও বিদেশি বিনিয়োগ হারানোর মতো পরিস্থিতিরও শিকার হতে হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com