বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা আজ রবিবার। বৌদ্ধ ধর্মমতে, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার শুভজন্ম, বোধিজ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ লাভÑ এই তিন স্মৃতিবিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বিশ্বের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে বুদ্ধপূর্ণিমা নামে পরিচিত।
এদিকে বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। হাজার বছর ধরে এদেশে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করে আসছেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এদেশ সব মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। মহামতি গৌতম বুদ্ধ হিংসা-বিদ্বেষ ও লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে মানবজাতিকে আলোকিত করেছেন। মানুষের মধ্যে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় গৌতম বুদ্ধ অহিংসার বাণী প্রচার করেছেন।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার ভাগ্য উন্নয়ন এবং সমান অধিকার সুনিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। বুদ্ধের আদর্শের অনুসরণ একটি হিংসা, বিদ্বেষ ও হানাহানিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা অন্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মিলেমিশে বহু বছর ধরে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে সমানভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন। গৌতম বুদ্ধের আদর্শ লালন করে দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন বলে আশা রাখি। আমি বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।’
বুদ্ধপূজা ও শীল গ্রহণ, পিণ্ডদান, ভিক্ষু সংঘের প্রাতরাশসহ নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সারাদেশে দিনটি উদ্?যাপন করবেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে আজ দেশে সরকারি ছুটি।
বুদ্ধপূর্ণিমা উদ্?যাপনের জন্য আজ দেশজুড়ে বৌদ্ধবিহারগুলোতে বুদ্ধপূজা, প্রদীপ প্রজ্বালন, শান্তি শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সমবেত প্রার্থনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
Leave a Reply