1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৭:৪১ অপরাহ্ন

৮ মাসে জব্দ ১৩ হাজার কোটি টাকার সম্পদ

‍ইউএস বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩ মে, ২০২৫

সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ করার ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বছর আগস্ট থেকে চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত আট মাসে দুর্নীতি, অর্থপাচার ও ঋণখেলাপিসহ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। দুদকের করা বিভিন্ন দুর্নীতির মামলা ও আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশনায় এসব সম্পদ জব্দও অবরুদ্ধ করা হয়। যাদের বিরুদ্ধে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রী-এমপি, রাজনীতিক, আমলা, ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে জানা গেছে।

২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে জব্দ করা সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় তিন হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০২৪ সালে জব্দ ও অবরুদ্ধ করা সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩৬১ কোটি টাকা। আদালত ও দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত বছর আগস্ট থেকে চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত জব্দ করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে- ১৯১ একর জমি, বিদেশে ৫৮২টি ফ্ল্যাট, দেশে ২৮টি বাড়ি, ৩৮টি ফ্ল্যাট, ১৫টি প্লট, ২৩টি গাড়ি, ২৩টি কোম্পানির আট লাখ ৮৮ হাজার ডলার, ৮৬ লাখ ২০ হাজার ৪৮০ ইউরো, তিনটি কোম্পানি ও তিনটি জাহাজ। এ ছাড়া ১০১০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এসব হিসাবে গচ্ছিত টাকার পরিমাণ ৮১৭ কোটি ১৪ লাখ। অবরুদ্ধ করা হয়েছে আট হাজার ৭১৩ কোটি টাকার শেয়ার, ৬৬০ গ্রাম সোনা, এক লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ ডলার, ৫৫ হাজার ইউরো এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নয়টি বিও হিসাবে নয় কোটি ১৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা স্থিতি। ব্যাংক স্থিতি সাত লাখ ১৩ হাজার ডলার ও ২৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪৮০ ইউরো। সব মিলিয়ে গত আট মাসে জব্দ ও অবরুদ্ধ সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা।

যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন রেহানা সিদ্দিকের পরিবারের সম্পদ, শিকদার গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ ও সালমান এফ রহমানসহ আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক শীর্ষ মন্ত্রী-এমপি ও আমলা। এ ছাড়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য মতিউর রহমানসহ শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

এ বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, গত আট মাসে যে পরিমাণ সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে তার পরিমাণ নিঃসন্দেহে বিপুল। এর আগে এত কম সময়ে এত পরিমাণ সম্পদ ক্রোক ও অবরুদ্ধ করার রেকর্ড নেই।

এসব সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিট বিষয়টি দেখছে। পাশাপাশি ক্রোক ও অবরুদ্ধ করা সম্পদের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এটি নিয়ে কাজ করছে।

আদালতের ভিন্ন কোনো নির্দেশনা না থাকলে ক্রোক বা অবরুদ্ধ করা সম্পদের দেখভালের দায়িত্ব পালন করে দুদকের ব্যবস্থাপনা ইউনিট। ২০১৯ সাল থেকে কমিশনের স্বতন্ত্র ইউনিট হিসেবে সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিট যাত্রা শুরু করে।

জানা গেছে, বর্তমানে ওই ইউনিটের অধীনে ২০২৪ সালে আদালতের আদেশে ১৭০ কোটি ৫৫ লাখ ৩২ হাজার ৩৩ টাকার সম্পত্তি ক্রোক এবং ১৯০ কোটি ৯০ লাখ ১১ হাজার ১৪০ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়। ২০২৩ সালে ২৮৩ কোটি ৪২ লাখ ৩৬ হাজার ৮৪৫ টাকার সম্পদ ক্রোক এবং ১৩২ কোটি এক লাখ ৯৩ হাজার ১০০ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়। একইভাবে ২০২২ সালে ৫৮৫ কোটি ৯২ লাখ ৫৮ হাজার ১৫৬ টাকার সম্পত্তি ক্রোক এবং ২২৪ কোটি ৭৯ লাখ ৭৫ হাজার ১৬৬ টাকা ও ২৭ হাজার ৯৫৪ মার্কিন ডলার অবরুদ্ধ করা হয়। ২০২১ সালে ৩২৬ কোটি ৭১ লাখ ৪৬ হাজার ৬২৮ টাকার সম্পত্তি ক্রোক এবং এক হাজার ১৬১ কোটি ৫৮ লাখ ১৪ হাজার ৪৮০ টাকার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা (পাউন্ড, কানাডিয়ান ডলার, অস্ট্রেলিয়ান ডলার) অবরুদ্ধ করা হয়। ২০২০ সালে আদালতের আদেশে ১৮০ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৭৪৬ টাকার সম্পত্তি ক্রোক এবং ১৫২ কোটি ৯২ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯৬ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়।

গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শীর্ষ রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক এবং অনুসন্ধান শেষে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com