পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫-এর উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পুলিশ প্রধান বাহারুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিন আজ বেলা আড়াইটায় ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে পুলিশের করণীয়, জনসাধারণের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে পুলিশের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এ সেমিনার থেকে আসবে একগুচ্ছ সুপারিশ।
এ ছাড়া এবার প্রথমবারের মতো নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে পুলিশ। অন্যদিকে সরকার প্রধানের কাছে স্বতন্ত্র পুলিশ কমিশন গঠনসহ ৭ দফা দাবি উত্থাপন করা হবে পুলিশের পক্ষ থেকে।
পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, এবার পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন সেশন থেকে যেসব প্রস্তাব ও সুপারিশ আসবে এবং সরকার প্রধানের পক্ষ থেকে যেসব দিকনির্দেশনা আসবে- তা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিতে মাঠ পুলিশকে বলা হবে। পুলিশ সদর দপ্তর বিষয়গুলো মনিটর করবে।
পুলিশ প্রধান (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, ‘এ বছর আমরা কার্যকর পুলিশ সপ্তাহ পালন করতে চাই। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরিকল্পনা শুনে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এ ছাড়া এবার নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা তাদের পরামর্শ শুনতে চাই।’
সূত্র বলেছে, এবারই প্রথমবারের মতো নাগরিক সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের বক্তব্য শুনবে পুলিশ। এজন্য আগামী ১ মে বেলা ১২টায় নাগরিক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় নির্ধারণ করা আছে। এর আগে কখনো পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে নাগরিক সমাজের সঙ্গে এভাবে মতবিনিময় হয়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠ পুলিশকে এখনো নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। এসব বিষয় পুলিশ সপ্তাহে আলোচনা এবং উত্তরণের উপায় বের করা হবে।এ ছাড়া গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানকালে পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়। এতে পুলিশ বাহিনীতে বিপর্যয় নেমে আসে। ভবিষ্যতে যেন পুলিশকে আর এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি না হতে হয়- এ বিষয়ে নিজেদের কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে চায় পুলিশ।
Leave a Reply