বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস (৮৮) গতকাল সোমবার সকালে মৃত্যুবরণ করেছেন। মূলত স্ট্রোক করেই তিনি মারা গেছেন। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ‘ডাবল নিউমোনিয়ায়’ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার ভ্যাটিকানের প্রকাশ করা ডেথ সার্টিফিকেটের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্ট্রোক করে কোমায় চলে যান পোপ ফ্রান্সিস। তার পর ‘চিকিৎসাতীত হৃদরোগে’ আক্রান্ত হয়ে চলে যান না ফেরার দেশে।
সম্প্রতি টানা পাঁচ সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এরপর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার এক মাসের মাথায় মারা গেলেন এই ধর্মগুরু। স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ভ্যাটিকানে কাসা সান্তা মার্তায় নিজ বাসভবনে পোপ মারা যান।
পোপ ফ্রান্সিসের ডেথ সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর দিয়েছেন ভ্যাটিকান সিটি স্টেটের স্বাস্থ্যবিভাগের পরিচালক অধ্যাপক আন্দ্রেয়া আর্কঅ্যাঞ্জেলি। ডেথ সার্টিফিকেট মতে, পোপ ফ্রান্সিস সেরিব্রাল স্ট্রোক, কোমা ও চিকিৎসাতীত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এএফপি জানিয়েছে, হাসপাতালে ভর্তির আগে থেকেই শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন পোপ। এরপর হাসপাতালে থাকাকালীন ‘ডাবল নিউমোনিয়ায়’ আক্রান্ত হন তিনি।পাশাপাশি তিনি টাইপ টু ডায়াবেটিস, আর্টেরিয়াল হাইপারটেনশন ও ব্রঙ্কাইটিসেও আক্রান্ত ছিলেন। ডায়াবেটিসের বিষয়টি হাসপাতালে ভর্তির আগে অজানা ছিল।
এদিকে তার মৃত্যুর বিষয়ে ভ্যাটিকান এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্ট্রোকের পর হৃদযন্ত্র অকার্যকর হয়ে পড়লে স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে পোপ ফ্রান্সিস শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, পোপ ফ্রান্সিস, ইতিহাসের প্রথম ল্যাটিন আমেরিকান পোপ, যিনি তার বিনয়ী ভঙ্গি এবং দরিদ্রদের প্রতি ভালোবাসার মাধ্যমে বিশ্বকে মুগ্ধ করেছিলেন।
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ গোটা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মানুষদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিশ্বনেতারাও।
Leave a Reply