ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তেহরান ও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের মধ্যে প্রথম দফার বৈঠক শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহগুলোতে এ নিয়ে আরও আলোচনা হবে বলে দু’পক্ষ সম্মত হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ আলোচনা শুরু হয়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এক খবরে বলেছে, ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে হওয়া এই বৈঠক শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে ইরান থেকে প্রকাশিত এসব খবরের সত্যতা নিশ্চিত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে দুই পক্ষের মধ্যে সামনাসামনি কথা হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাতে আলোচনা যে ভালো হয়েছে, তার ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে।
ওমানের যে স্থানে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট করে কিছু জানানো না হলেও দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এই আলোচনা চলে বলে জানা গেছে। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বৈঠকটি শুরু হয়ে ৫টা ৫০ মিনিটে তা শেষ হয়।
বৈঠক শেষে উইটকফকে বহনকারী গাড়িবহরটি ওমানের রাজধানী মাসকাটে ফিরে আসে। পরে সেটিকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের দিকে রওনা হতে দেখা যায়।
প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে বৈরী সম্পর্ক টেনে নিয়ে আসার পর দুই দেশের মধ্যে এমন আলোচনাকে আশাব্যঞ্জক বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই আলোচনার ঝুঁকিও রয়েছে বলে মত তাদের।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী, ইরান ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ উপাদান মজুদ রাখতে পারে। তবে বর্তমানে তেহরানের ইউরেনিয়ামের মজুদ এমন পর্যায়ে আছে যে তারা চাইলে একাধিক পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে। এছাড়া তাদের কাছে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ উপাদানও রয়েছে, যা অস্ত্র-গ্রেড মান থেকে প্রযুক্তিগতভাবে মাত্র কয়েক ধাপ দূরে।
Leave a Reply